পরিচ্ছেদ: দোয়া কবুলের শর্তাবলি
আভিধানিকভাবে শর্ত মানে নিদর্শন বা আলামত। পারিভাষিকভাবে, শর্ত হলো এমন। বিষয় যার অনুপস্থিতিতে একটি বস্তুকে নেই বলে মনে করা হয়। দোয়া কবুলের জন্য সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলি নিচে উল্লেখ করা হলো: প্রথম শর্ত: ইখলাস বা একনিষ্ঠতাঅর্থাৎ দোয়া ও আমলকে সব ধরনের ত্রুটি থেকে মুক্ত রাখা, পুরোটাই একমাত্র আল্লাহর জন্য হওয়া, তাতে কোনও শির্ক না থাকা, মানুষকে দেখানো বা শোনানোর বিষয় না থাকা, ভঙ্গুর বস্তু না চাওয়া, তাতে কোনও ভণ্ডামি না থাকা, বরং বান্দা (এর মাধ্যমে) আল্লাহর কাছে সাওয়াব প্রত্যাশা করবে, তাঁর শাস্তিকে ভয় পাবে এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠবে। ইখলাসের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তা'আলা তাঁর মহিমান্বিত গ্রন্থে বলেন—قُلْ أَمَرَ رَبِّى بِالْقِسْطِ ۖ وَأَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ ۚ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ ﴿ ٢٩﴾অর্থঃ “তাদের বলে দাও—আমার রব তো সততা ও ইনসাফের হুকুম দিয়েছেন। তাঁর হুকুম হচ্ছে, প্রত্যেক ইবাদাতে নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখো এবং নিজের দ্বীনকে একান্তভাবে তাঁর জন্য করে নিয়ে তাঁকেই ডাকো৷ যেভাবে তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে তোমাদের আবার সৃষ্টি করা হবে।” (সূরা আল-আ'রাফ ৭:২৯)দ্বিতীয় শর্ত: শারীআর আনুগত্যএটি সকল ইবাদাতের ক্ষেত্রেই শর্ত; কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেন—قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحٰىٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وٰحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُوا لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صٰلِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدًۢا ﴿ ١١٠﴾অর্থঃ “বলো—আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি ওহি করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ; কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী, তার সুকাজ করা উচিত এবং ইবাদাতের ক্ষেত্রে নিজের রবের সঙ্গে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।” (সূরা আল-কাহফ ১৮:১১০)সৎকাজ বলতে ওই কাজকে বোঝানো হয়, যা আল্লাহ তা'আলার শারীআর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এবং যার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জন করা। তাই দোয়া ও আমল উভয়টি হতে হবে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর শারীআর মানদণ্ডে উত্তীর্ণ। [ইবনু কাসীর, তাফসীর, ৩/১০৯]তাই, ফুদাইল ইবনু ইয়াদ (রাঃ) নিচের আয়াতের তাফসীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন—تَبٰرَكَ الَّذِى بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ﴿ ١﴾ الَّذِى خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيٰوةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ ﴿ ٢﴾অর্থঃ “অতি মহান ও শ্রেষ্ঠ তিনি, যাঁর হাতে রয়েছে (সমগ্র বিশ্ব-জাহানের) কর্তৃত্ব। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতা রাখেন৷ কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল৷” (সূরা আল-মুলক ৬৭:১-২) ফুদাইল (রাঃ) বলেন, কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম’-এর মানে কার কাজ অধিক একনিষ্ঠ ও সঠিক। লোকজন বলল, ‘আবু আলি! অধিক একনিষ্ঠ ও সঠিক কাজ কোনটি?’ ফুদাইল (রাঃ) বলেন, “যদি আমল হয় একনিষ্ঠ, কিন্তু তা সঠিক হলো না, তা হলে তা কবুল হবে না; আবার আমল হলো সঠিক, কিন্তু তা একনিষ্ঠ নয়, সেটিও কবুল হবে; কবুল হওয়ার জন্য তা একনিষ্ঠ ও সঠিক—উভয় মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। একনিষ্ঠ হওয়া মানে বিষয়টি আল্লাহর জন্য হওয়া, আর সঠিক হওয়া মানে সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া।” এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন:قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحٰىٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وٰحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُوا لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صٰلِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدًۢا ﴿ ١١٠﴾অর্থঃ “বলো—আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি ওহি করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ; কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী, তার সৎকাজ করা উচিত এবং ইবাদাতের ক্ষেত্রে নিজের রবের সঙ্গে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।” (সূরা আল-কাহফ ১৮:১১০)তৃতীয় শর্ত: আল্লাহ তা'আলার উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসঅর্থাৎ আল্লাহ তা'আলার উপর পূর্ণ আস্থা ও দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যে, তিনি (বান্দার) ডাকে সাড়া দেবেন। দোয়া কবুলের জন্য অন্যতম বড় শর্ত হলো, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা এবং (এ বিশ্বাস জাগরুক রাখা) যে, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান; কারণ আল্লাহ তা'আলা কোনও কিছুকে বলেন ‘হও!’ আর অমনি তা হয়ে যায়। আল্লাহ তা'আলা বলেন -إِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَىْءٍ إِذَآ أَرَدْنٰهُ أَن نَّقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ﴿ ٤٠﴾অর্থঃ “কোনও জিনিসকে অস্তিত্বশীল করার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু করতে হয় না যে, তাকে হুকুম দিই “হয়ে যাও” আর তা হয়ে যায়।” (সূরা আন-নাহল ১৬:৪০)إِنَّمَآ أَمْرُهُۥٓ إِذَآ أَرَادَ شَيْـًٔا أَن يَقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ﴿ ٨٢﴾অর্থঃ “তিনি যখন কোনও কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর কাজ হয় কেবল এতটুকু যে, তিনি তাকে হুকুম দেন, হয়ে যাও এবং তা হয়ে যায়।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৮২)যে বিষয়টি ভালোভাবে জানা থাকলে, নিজের রবের উপর একজন মুসলিমের আস্থা বেড়ে যায় তা হলো—কল্যাণ ও অনুগ্রহের সকল ভাণ্ডার আল্লাহ তা'আলার হাতে। আল্লাহ তা'আলা বলেন-وَإِن مِّن شَىْءٍ إِلَّا عِندَنَا خَزَآئِنُهُۥ وَمَا نُنَزِّلُهُۥٓ إِلَّا بِقَدَرٍ مَّعْلُومٍ ﴿ ٢١﴾অর্থঃ এমন কোনও জিনিস নেই, যার ভাণ্ডার আমার কাছে নেই; আর আমি যে জিনিসই অবতীর্ণ করি, একটি নির্ধারিত পরিমাণেই করে থাকি৷” (সূরা আল-হিজর ১৫:২১)আল্লাহ তা'আলার উদ্ধৃতি দিয়ে হাদীসে কুদসিতে নবি (ﷺ) বলেন, “... আমার বান্দারা! যদি তোমাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই এবং তোমাদের মানুষ ও জিন সকলে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার কাছে চায়, আর আমি প্রত্যেককে তার চাওয়া-জিনিস দিয়ে। দিই, তা হলে আমার কাছে যা আছে তাতে কোনও কমতি হবে না, সাগরে কোনও সুই ঢুকালে যেটুকু কমতি হয় সেটুকু বাদে।” [মুসলিম, ২৫৭৭]এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তা'আলার ক্ষমতা ও রাজত্ব স্বয়ংসম্পূর্ণ; তাঁর রাজত্ব ও ভাণ্ডার অফুরন্ত; দানের ফলে তাতে কোনও কমতি হয় না; শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল জিন ও মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে তাঁর কাছে যা চাইবে, তা সব দেওয়া হলেও তাতে কোনও ঘাটতি হবে না। [জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম, ২/৪৮]এ জন্য নবি (ﷺ) বলেছেন, “আল্লাহর হাত ভরপুর; দিনরাত দান করলেও তাতে। কোনও ঘাটতি দেখা দেয় না; তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করার পর থেকে তিনি কী পরিমাণ দান করেছেন? এর ফলে তাঁর হাতে যা আছে তাতে কোনও কমতি হয়নি। তাঁর আরশ ছিল পানির উপর; আর তাঁর হাতে আছে ন্যায়দণ্ড, (এর ভিত্তিতে) তিনি (মানুষকে) উঁচু-নিচু করেন।” [বুখারি, ৪৬৮৪]একজন মুসলিম যখন এসব বিষয় ভালোভাবে জানবে, তখন তার দায়িত্ব হবে ‘আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেবেন’-মর্মে পূর্ণ আস্থা রেখে আল্লাহকে ডাকা, যেমনটি ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবি (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ সাড়া দেবেন—এই বিশ্বাস নিয়ে তোমরা আল্লাহকে ডাকো। ...” [তিরমিযি, ৩৪৭৯, গরীব] তাই, নবি (ﷺ) সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন যে, আল্লাহ ওই মুসলিমের ডাকে সাড়া দেবেন, যে শর্ত পালন করে, শিষ্টাচার মেনে কাজ করে এবং (দোয়া কবুলের পথে) যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা থেকে দূরে থাকে। তাই নবি (ﷺ) বলেছেন, “কোনও মুসলিম যদি আল্লাহর কাছে এমন দোয়া করে, যার মধ্যে কোনও পাপ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের বিষয় নেই, তা হলে আল্লাহ তাকে তিনটির যে-কোনও একটি অবশ্যই দেবেন: ১. হয় দ্রুত তাকে তার দোয়ার ফল দেওয়া হবে, অথবা ২. এটিকে তার আখিরাতের জন্য জমা রাখা হবে, নতুবা ৩. তার কাছ থেকে অনুরূপ কোনও অনিষ্ট দূর করে দেওয়া হবে।” (এ কথা শুনে) সাহাবিগণ বলেন, “তা হলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করব!” নবি (ﷺ) বলেন, “আল্লাহর দয়া তোমাদের দোয়ার চেয়ে অনেক বেশি!” [আহমাদ, ৩/১৮, ১১১৩৩, ইসনাদটি সহীহ] চতুর্থ শর্ত: অন্তরকে হাজির ও বিনীত রাখা অর্থাৎ অন্তরের উপস্থিতি, বিনয়, আল্লাহর কাছে সাওয়াব লাভের আগ্রহ ও তাঁর শাস্তির ভয় থাকা। আল্লাহ তা'আলা যাকারিয়্যা (আঃ) ও তাঁর পরিবারের লোকদের প্রশংসা করে বলেছেন—وَزَكَرِيَّآ إِذْ نَادٰى رَبَّهُۥ رَبِّ لَا تَذَرْنِى فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوٰرِثِينَ ﴿ ٨٩﴾ فَاسْتَجَبْنَا لَهُۥ وَوَهَبْنَا لَهُۥ يَحْيٰى وَأَصْلَحْنَا لَهُۥ زَوْجَهُۥٓ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسٰرِعُونَ فِى الْخَيْرٰتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا ۖ وَكَانُوا لَنَا خٰشِعِينَ ﴿ ٩٠﴾অর্থঃ “আর যাকারিয়্যা'র কথা (স্মরণ করো), যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল: “হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একাকী ছেড়ে দিয়ো না এবং সবচেয়ে ভালো উত্তরাধিকারী তো তুমিই” কাজেই আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম এবং তাকে ইয়াহইয়া দান করেছিলাম, আর তার স্ত্রীকে তার জন্য যোগ্য করে দিয়েছিলাম। তারা সৎকাজে আপ্রাণ। চেষ্টা করত, আমাকে ডাকত আশা ও ভীতি-সহকারে এবং আমার সামনে থাকত অবনত হয়ে।” (সূরা আল-আম্বিয়া ২১:৮৯-৯০)সুতরাং মুসলিমের জন্য আবশ্যক হলো, দোয়ার সময় তার অন্তরকে হাজির রাখা। দোয়া কবুল হওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেমনটি ইমাম ইবনু রজব বলেছেন। [জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম, ২/৪০৩]আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “আল্লাহ সাড়া দেবেন—এই বিশ্বাস নিয়ে তোমরা আল্লাহকে ডাকো। ভালোভাবে জেনে রাখো, গাফিল ও অমনোযোগী অন্তর নিয়ে দোয়া করলে, আল্লাহ তাতে সাড়া দেন না।” [তিরমিযি, ৩৪৭৯, গরীব] যিকর ও দোয়া করার সময় অন্তরকে হাজির ও বিনীত রাখার জন্য আল্লাহ তা'আলা আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন—وَاذْكُر رَّبَّكَ فِى نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْءَاصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغٰفِلِينَ ﴿ ٢٠٥﴾অর্থঃ “তোমার রবকে স্মরণ করো সকাল-সাঁঝে, মনে মনে, কান্নাজড়িত স্বরে, ভীত-বিহুল চিত্তে ও অনুচ্চ কণ্ঠে। তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা গাফিলতির মধ্যে ডুবে আছে।” (সূরা আল-আ'রাফ ৭:২০৫)পঞ্চম শর্ত: দৃঢ়তা বজায় রাখাএকজন মুসলিম যখন তার রবের কাছে কিছু চায়, তখন তার উচিত দোয়ার মধ্যে দৃঢ়তা ও স্থিরতা বজায় রাখা। এ জন্য নবি (ﷺ) দোয়ার মধ্যে ব্যতিক্রম বা শর্ত রাখতে নিষেধ করেছেন।আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে, তখন তার উচিত দোয়ার মধ্যে দৃঢ়তা বজায় রাখা, সে যেন এ কথা বলে—”হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে দাও', কারণ আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করার মতো কেউ নেই।” অপর এক বর্ণনায় আছে, “আল্লাহর উপর কোনও বলপ্রয়োগকারী নেই।” [বুখারি, ৬৩৩৮]আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবি (ﷺ) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে—হে আল্লাহ! তুমি চাইলে আমাকে মাফ করে দাও; হে আল্লাহ! তোমার মর্জি হলে আমার উপর দয়া করো; বরং তার উচিত চাওয়ার ক্ষেত্রে দৃঢ়তা বজায় রাখা এবং পূর্ণ উদ্যম ও উৎসাহ নিয়ে নিজের আকুতি পেশ করা; কারণ আল্লাহর জন্য কোনও কিছুই এত বড় নয় যে, তিনি তা দিতে পারবেন না।” [মুসলিম, ২৬৭৯]