৭৬৪. পরিপূর্ণ ঈমান, অশেষ অনুগ্রহ এবং রাসুল (ﷺ) সাহচর্য চাওয়ার দোয়া

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا لَا يَرْتَدُّ، وَنَعِيْمًا لَا يَنْفَدُ، وَمُرَافَقَةَ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ (ﷺ) فِي أَعْلَى جَنَّةِ الْخُلْدِ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্‌আলুকা ঈমা-নান লা- ইয়ার-তাদ্দু, ওয়া না'ঈমান লা- ইয়ানফাদু, ওয়া মুরা-ফাক্বাতা নাবিয়্যিনা- মুহাম্মাদিন (ﷺ) ফি আ'লা জান্নাতি-ল খুলদ্ব

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে চাই এমন ঈমান যা গ্রহণ করার পর কেউ তা ত্যাগ করে না, এমন অনুগ্রহ যা কখনও শেষ হবে না। এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহচর্য (যিনি থাকবেন) স্থায়ী জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে।

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি মসজিদে সালাত আদায় করছি। এমন সময় আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) (মসজিদে) ঢুকেন। সঙ্গে আবু বকর ও উমর (রাঃ)। আমি সূরা আন-নিসা পাঠ করি। পাঠ শেষ হলে, বসে আল্লাহ্‌ তা'আলার প্রশংসা ও নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পড়তে শুরু করি। এরপর নিজের জন্য দোয়া করি। তখন আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, “চাও! তোমাকে দেওয়া হবে।” এরপর তিনি (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি সতেজভাবে কুরআন পাঠ করতে চায়, সে যেন ইবনু উম্মে আবদ (অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ)-এর মতো পাঠ করে। এরপর আমি ঘরে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর আবু বকর (রাঃ) এসে বলেন, “তুমি যে দোয়া করেছিলে, তার কিছু কি মনে আছে?” আমি বলি, “হ্যাঁ! (সেটি হলো) - (দোয়াটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে) এরপর আল্লাহ্‌র (এ) বান্দাকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য উমর (রাঃ) আসেন। এসে দেখেন, তার আগেই আবু বকর (রাঃ) এসে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তখন তিনি বলেন, “এ কাজ করে থাকলে, আপনি তো কল্যাণমূলক (সকল) কাজে সবার চেয়ে অগ্রগামী!”

রেফারেন্সহাসান। সিলসিলাতুল সহীহাঃ ৫/৩৭৯

সেটিংস

বর্তমান ভাষা