অধ্যায়: আদব-শিষ্টাচার
পরিচ্ছেদ: হাঁচি ও হাই তোলার ক্ষেত্রে শিষ্টাচার
৪৬২. হাঁচির ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশ #১
বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাদের সাতটি কাজের আদেশ দিয়েছেন, আর সাতটি জিনিস নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের (এসব কাজের) হুকুম দিয়েছেন: রোগীর সেবা করা, জানাযার পেছনে পেছনে যাওয়া, হাঁচি দানকারীর (হাঁচির) জবাব দেওয়া, কেউ দাওয়াত দিলে তার দাওয়াতে সাড়া দেওয়া, বেশি বেশি সালাম দেওয়া, মাযলুমকে সাহায্য করা এবং কসমকারীকে কসম ঠিক রাখার সুযোগ করে দেওয়া। আর তিনি আমাদের (এসব জিনিস ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন: স্বর্ণের আংটি, রুপার পাত্র, মায়াসির (রেশমি কার্পেট), কাসসী (রেশম মিশ্রিত কাপড়), রেশমি কাপড়, দীবাজ বা কিংখাব (সোনা বা রুপা খচিত রেশমি কাপড়) ও ইস্তাক (বিশেষ ধরনের রেশমি কাপড়)।
৪৬৩. হাঁচির ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশ #২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, “(এক) মুসলিমের উপর (অপর) মুসলিমের অধিকার পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, জানাযার পেছনে পেছনে যাওয়া, ডাকে সাড়া দেওয়া এবং হাঁচিদানকারীর জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা।”
৪৬৪. হাঁচির ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশ #৩
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা হাঁচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন। সুতরাং তোমাদের মাঝে কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলার সময় সকল শ্রোতার জন্য ইয়ারহামুকাল্লাহ (আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুক) বলা খুবই জরুরী হয়ে যায়। আর তোমাদের মাঝে কারও হাই উঠার সময় যথাসম্ভব সে যেন তা ফিরিয়ে রাখে এবং "হাহ্ হাহ্" না বলে। কেননা এটা শাইতানের পক্ষ হতে এবং সে তাতে হাসতে থাকে।