অধ্যায়: আযান ও ইকামত
পরিচ্ছেদ: আযানের সময় যা বলতে হবে
১৬২. আযানের সময় যা বলতে হবে #১
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যখন মুআযযিন বলে “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার”, তখন তোমাদের কেউ যদি বলে “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; যখন মুআযযিন বলে “আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে যদি বলে “আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”; যখন মুআযযিন বলে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, সে যদি বলে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্”; যখন মুআযযিন বলে “'হাইয়া আলাস সলাহ্”, সে যদি বলে “লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ"; যখন মুআযযিন বলে “'হাইয়া আলাল ফালাহ”, সে যদি বলে “লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ”; যখন মুআযযিন বলে “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার”, সে যদি বলে “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার”, এরপর যখন মুআযযিন বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে যদি বলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” যদি সে হৃদয় থেকে এসব বলে, তা হলে সে জান্নাতে যাবে।
১৬৩. আযানের সময় যা বলতে হবে #২
মুয়াযযিন তাশাহুদ (তথা আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার...) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা এ যিক্রটি বলবে -
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ ، رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَّسُوْلًا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا
আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু, লা-শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহু, ওয়া রসূলুহু, রাদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান ওয়াবি মু'হাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলা-মী দ্বীনান
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই। এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহ্কে রব্ব, মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে রাসূল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।
সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন: “যে ব্যক্তি মুআযযিনকে শুনে এ বাক্যগুলো বলবে তার সকল পাপ ক্ষমা করা হবে।”
পরিচ্ছেদ: আযানের পরে যা বলতে হবে
১৬৪. আযানের পরে পঠিতব্য দোয়া #১
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اَللَّهُمَّ بَارِكَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ، اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ، اَللّٰهُمَّ بَارِكَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ، اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মু‘হাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলী মু‘হাম্মাদিন কামা- সাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলী ইব্রাহীমা ইন্নাকা ‘হামিদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আলী মু‘হাম্মাদিন কামা- বা-রকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলী ইব্রাহীমা ইন্নাকা ‘হামিদুম মাজীদ
হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ আপনি ইবরাহীম (‘আঃ) এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর বংশধরদের উপর তেমনি বরকত দান করুন যেমনি বরকত দান করেছেন ইবরাহীম (‘আঃ) ও তাঁর বংশধরদের উপর। নিশ্চয়ই আপনি অতি প্রশংসিত, অতি মর্যাদার অধিকারী।
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: “যখন তোমরা মুয়াযযিনকে আযান দিতে শুনবে, তখন সে যেরূপ বলে অনুরূপ বলবে। এরপর আমার উপর দুরুদ পাঠ করবে; কারণ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাঁকে দশবার সালাত (রহমত) প্রদান করবেন। এরপর আমার জন্য ‘ওসীলা’ চাইবে; কারণ ‘ওসীলা’ জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান, আল্লাহ্র একজন বান্দাই এ মর্যাদা লাভ করবেন এবং আমি আশা করি আমিই হব সেই বান্দা। যে ব্যক্তি আমার জন্য ‘ওসীলা’ প্রার্থনা করবে, তার জন্য শাফায়াত প্রাপ্য হয়ে যাবে।