অধ্যায়: দোয়া কবুল হওয়া
পরিচ্ছেদ: যাদের দোয়া কবুল হয়
৬৩. এক মুসলিমের অনুপস্থিতিতে আরেক মুসলিমের দোয়া
উম্মুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি সাফওয়ান (রাঃ) কে বলেন, “আপনি কি এ বছর হজ্জে যাবেন?” তিনি বলেন, “হ্যাঁ!” উম্মুদ দারদা (রাঃ) বলেন, “তা হলে আল্লাহ্র কাছে আমাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করুন। কারণ নবী (ﷺ) বলতেন, ‘এক মুসলিমের অনুপস্থিতিতে তার আরেক মুসলিম ভাই দোয়া করলে, ওই দোয়া কবুল হয়; তার মাথার পাশে একজন ফেরেশতা থাকে, যখনই সে তার ভাইয়ের কল্যাণের জন্য দোয়া করে, তখনই তার জন্য নিযুক্ত ফেরেশতা বলে ওঠে-তোমাকেও অনুরূপ দেওয়া হোক!'
৬৪. মজলুমের দোয়া
নবী (ﷺ) বলেন, “মজলুমের ফরিয়াদ থেকে সতর্ক থেকো, কারণ মজলুমের ফরিয়াদ ও আল্লাহ্র মধ্যে কোনও পর্দা থাকে না।”
৬৫. মজলুুমের দোয়া কবুলের উদাহরণ
মজলুমের দোয়া কবুল হওয়ার একটি উদাহরণ হলো-আবু সা’দাহ্-র সঙ্গে সাদ (রাঃ) এর ঘটনা। সাদ (রাঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সা’দাহ্ বলেন, “তোমরা যেহেতু আমাদের কাছ থেকে শপথ নিয়েছ, তাই বলছি: সাদ (রাঃ) সেনাবাহিনীর সঙ্গে যেতেন না, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনে সমতা বজায় রাখতেন না এবং বিচার করার সময় ইনসাফ করতেন না। সাদ (রাঃ) বলেন, “শুনে রাখো! শপথ আল্লাহ্র, আমি (তার জন্য) তিনটি দোয়া করছি, হে আল্লাহ্! তোমার এ বান্দা যদি মিথ্যুক হয়ে থাকে এবং মানুষের সামনে নিজেকে জাহির করার জন্য এ কথা বলে থাকে, তা হলে তুমি তাকে দীর্ঘ হায়াত দাও, তার দারিদ্র্যকে দীর্ঘায়িত করো এবং তাকে নানা পরীক্ষার মুখোমুখি করো!” পরবর্তী সময়ে আবু সা’দাহ্-কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলত, “আমি হলাম নানা পরীক্ষায় জর্জরিত এক বুড়ো। সাদের (বদ) দোয়া আমার উপর লেগেছে।” আবদুল মালিক (রহঃ) বলেন, পরবর্তীকালে আমি তাকে দেখেছি-বার্ধক্যের দরুন তার ভ্রূ গুলো চোখের উপর নেমে এসেছে, আর সে রাস্তায় ছোটো ছোটো মেয়েদেরকে বিরক্ত করত।