অধ্যায়: ঈদ
পরিচ্ছেদ: ঈদের দিনে পঠিতব্য দোয়া
৯২৬. তকবীরের শব্দাবলী #১
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) তকবীর পাঠ করে বলতেন-
اَللَّهُ أَكْبرُ اَللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اَللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
اَللّٰهُ اَكْبَرُ اَللّٰهُ اَكْبَرُ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ، وَاللّٰهُ اَكْبَرُ اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্।
আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
৯২৭. তকবীরের শব্দাবলী #২
ইবনে আববাস (রাঃ) বলতেন,
اَللَّهُ أَكْبَرُ، اَللَّهُ أَكْبَرُ، اَللَّهُ أَكْبَرُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، اَللَّهُ أَكْبَرُ وَأَجَلُّ، اَللَّهُ أَكْبَرُ عَلىَ مَا هَدَانَا
اَللّٰهُ اَكْبَرُ، اَللّٰهُ اَكْبَرُ، اَللّٰهُ اَكْبَرُ، وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ، اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَاَجَلُّ، اَللّٰهُ اَكْبَرُ عَلٰى مَا هَدَانَا
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্। আল্লা-হু আকবার ওয়া আজাল্ল, আল্লা-হু আকবার 'আলা- মা- হাদা-না।
আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ মহান ও মহামর্যাদাবান। আল্লাহ মহান কারণ তিনি আমাদের হেদায়েত দিয়েছেন।
৯২৮. তকবীরের শব্দাবলী #৩
অন্য এক বর্ণনায় আছে,
اَللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيْرًا، اَللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيْرًا، اَللَّهُ أَكْبَرُ وَأَجَلُّ، اَللَّهُ أَكْبَرُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا، اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا، اَللّٰهُ اَكْبَرُ وَاَجَلُّ، اَللّٰهُ اَكْبَرُ، وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ
আল্লা-হু আকবার কাবীরা, আল্লা-হু আকবার কাবীরা, আল্লা-হু আকবার ওয়া আজাল্ল, আল্লা-হু আকবার, ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্। [১]
আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচাইতে বড়, আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচাইতে বড়, আল্লাহ মহান ও মহামর্যাদাবান। আল্লাহ মহান। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
মহিলারাও এই তকবীর পাঠ করবে, তবে নিম্নস্বরে। যাতে গায়র মাহরাম কোন পুরুষ তার এই তকবীর পাঠের শব্দ না শুনতে পায়। উম্মে আতিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, ‘এমনকি আমরা ঋতুমতী মহিলাদেরকেও ঈদগাহে বের করতাম। তারা পুরুষদের পিছনে অবস্থান করত; তাদের তকবীর পড়া শুনে তারাও তকবীর পাঠ করত এবং তাদের দুআ শুনে তারাও দোয়া করত। তারা ঐ দিনের বরকত ও পবিত্রতা আশা করত।’ [২] পক্ষান্তরে সমবেত কণ্ঠে সমস্বরে জামাআতী তকবীর অথবা একজন বলার পর অন্য সকলের একই সাথে তকবীর পাঠ বিদআত। যেহেতু যিকির-আযকারে মহানবী (ﷺ)-এর আদর্শ হল, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ যিকির একাকী পাঠ করবে। সুতরাং তাঁর ও তাঁর সাহাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়া কারো জন্য উচিত নয়। [৩]