পরিচ্ছেদ: হিজামা করার স্থানসমূহ
১৫১
আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন স্থানে যথা ঘাড়ের দু’পার্শ্বে দুটি রগে এবং কাঁধে হিজামা করিয়েছেন। [সুনানে ইবনে দাউদ, হা/৩৮৬০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৩৪৮৩; হাদীস সহীহ]আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মাথায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। [সহীহুল বুখারী, হা/৫৬৯৯]আবু কাবশাহ আনমারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মাথার মাঝখানে এবং দুই কাঁধের মাঝে হিজামা করাতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি নিজ শরীরের এ অংশে হিজামা করাবে, সে তার কোনো রোগের চিকিৎসা না করালেও কোনো ক্ষতি হবে না। [সুনান আবু দাউদ, হা/৩৮৫৯; সুনান ইবনে মাজাহ, হা/৩৪৮৪; সানাদ সহীহ]জাবির (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাড় মচকে গেলে তিনি এর জন্য হিজামা করান। [সুনান আবু দাউদ, হা/৩৮৬৩; সুনান ইবনে মাজাহ, হা/৩৪৮৫; সানাদ সহীহ]আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যথার কারণে ইহরাম অবস্থায় তার পায়ের উপরিভাগে হিজামা করিয়েছেন। [সুনান আবু দাউদ, হা/১৮৩৭; সানাদ সহীহ]ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, “দাঁতে, মুখে এবং গলায় ব্যথা হলে থুতুনির নিচে হিজামা লাগালে উপকার পাওয়া যায় যদি তা সঠিক সময়ে করা হয়। এটা মাথা ও চোয়াল শোধন করে।পায়ের সাফিনায় (যা গোরালির বড় শিরা) পাংচারিং করার পরিবর্তে পায়ের পাতার সম্মুখে হিজামা লাগানো যেতে পারে। থাই এবং পায়ের পিছনের মাংসের আলসারের চিকিৎসায় এটি উপকারি। তা ছাড়া রক্তস্রাবে বাধা ও অন্ড কোষের চামড়ায় ক্ষয়ে তা ব্যবহার যোগ্য।উরুতে ব্যথা, চুলকানী ও খোসপাঁচরার চিকিৎসা হিসেবে বুকের নিচে হিজামা লাগানো উপকারী। এতে পিঠের গেঁটে বাত, অর্শ, গোদ রোগ, খোসপাঁচড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।” [যাদুল মায়া’দ ৪/৫৮]