পরিচ্ছেদ: হিজামা সংক্রান্ত কিছু সহীহ হাদীস
১৪৯
আনাস বিন মালিক (রাঃ)-এর নিকট হিজামা বৃত্তির উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিজামা (নিজ শরীরে) লাগিয়েছেন। আবু তায়বা তাকে হিজামা করেছেন। তাকে দুই সা (প্রায় ৫কেজি) খাদ্য বস্তু দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মালিকদের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন: তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও হিজামা সে সবের মধ্যে উত্তম ব্যবস্থা অথবা (বলেছেন) এটি তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৯৩০; (হাদীস একাডেমী)]আমর বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী (ﷺ) হিজামা লাগাতেন এবং কোনো লোকের পারিশ্রমিক কম দিতেন না।” [সহীহুল বুখারী, হা/২২৮০; (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)]‘আসিম বিন উমার বিন কাতাদা থেকে বর্ণিত যে, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) অসুস্থ মুকান্নাকে দেখতে যান। এরপর তিনি বলেন: আমি সরবো না, যতক্ষণ না তাকে হিজামা লাগানো হয়। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: নিশ্চয় এর (হিজামার) মধ্যে রয়েছে নিরাময়।” [সহীহুল বুখারী, হা/৫৬৯৭; (তাওহীদ পাবলিকেশন্স]ইবনু আববাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে রয়েছে। হিজামা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মাতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি। [সহীহুল বুখারী, হা/৫৬৮১; (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)]ইবনু আববাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, মাথা ব্যথার কারণে নবী (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় ‘লাহয়ি জামাল’ নামক একটি কূপের নিকট মাথায় শিংগা লাগিয়েছেন। অন্যত্র ইবনু আববাস (রা) বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম বাঁধা অবস্থায় অর্ধ মাথা ব্যথার কারণে তাঁর মাথায় শিংগা লাগিয়েছেন। [সহীহুল বুখারী, হা/৫৭০০, ৫৭০১; (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)]আসেম বিন উমার বিন কাতাদা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের বাড়িতে আসেন। বাড়ির একটি লোক তার ক্ষতে রোগের কথা বলল। জাবির (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি অসুবিধা? সে বলল, ক্ষত হয়েছে যা আমার কাছে অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাবির (রাঃ) বলেন, বৎস! আমার কাছে একজন হিজামাকারী ডেকে নিয়ে এসো। সে বলল, হে আবু আবদুল্লাহ! হিজামাকারীকে দিয়ে কি করবেন? তিনি বললেন, ক্ষতস্থানে হিজামা করাতে চাই। সে বলল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমাকে উত্যক্ত করবে কিংবা (ক্ষতস্থানে) কাপড় লেগে গেলে আমার কষ্ট হবে। হিজামা করাতে তার অসম্মতি দেখে জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: “ঔষধ হল: (1) হিজামা করানো, (2) মধু পান করা এবং (3) আগুনের টুকরা দিয়ে দাগ দেয়া”। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে আগুন দিয়ে দাগ লাগানো পছন্দ করি না। রাবী বলেন, অতঃপর হিজামাকারী আসলো এবং তাকে হিজামা করানো হলো। এতেই সে আরোগ্য লাভ করল। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৬৩৬; (হাদীস একাডেমী)]জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ)- এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। [সুনানু আন-নাসাঈ, হা/২৮৫২; (মিনা বুক হাউস)]