৭৫০. আল্লাহ্‌র চেহারায় তাকানোর নিয়ামত লাভের দোয়া

اَللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِيْ، وَتَوَفَّنِيْ إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي، اَللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ، وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى، وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لَا يَنْفَدُ، وأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ، وَأَسْأَلُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَأَسْأْلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ، فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ، وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اَللَّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِينَةِ الْإِيمَانِ، وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ

আল্লা-হুম্মা, বি‘ইলমিকাল গাইবা ওয়া ক্বুদ্‌রাতিকা ‘আলাল খাল্‌ক্কি, আ’হ্‌য়িনী মা- ‘আলিম্‌তাল ‘হায়া-তা খাইরান লী, ওয়া তাওয়াফ্‌ফানী ইযা- ‘আলিম্‌তাল ওয়াফা-তা খাইরান লী, আল্লা-হুম্মা, ওয়া আস্‌আলুকা খাশ্‌ইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ওয়া আস্‌আলুকা কালিমাতাল হাক্বি ফির রিদ্বা- ওয়াল গাদ্বাবি, ওয়া আস্আলুকাল ক্বাস্‌দা ফিল ফাক্বরি ওয়াল গিনা- ওয়া আস্‌আলুকা না’য়ীমান লা- ইয়ান্‌ফাদু, ওয়া আস্‌আলুকা ক্বুর্‌রাতা ‘আইনিন লা- তান্‌ক্বাতি’উ, ওয়া আস্আলুকার রিদ্বা- বা'অ্‌দাল ক্বাদ্বা-ই, ওয়া আস্‌আলুকা বার্‌দাল ‘আইশি বা’অ্‌দাল মাউতি, ওয়া আস্‌আলুকা লায্‌যাতান নাযারি ইলা- ওয়াজ্‌হিকা ওয়াশ্‌ শাওক্বা ইলা- লিক্বা-য়িকা ফী গাইরি দ্বার্‌রা-আ মুদ্বির্‌রাতিন ওয়ালা- ফিত্‌নাতিন মুদ্বিল্লাতিন। আল্লা-হুম্মা, ঝাইয়িন্না- বিঝীনাতিল ঈমা-নি ওয়াজ্‌‘আলনা- হুদা-তাম মুহ্‌তাদীন

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! তোমার অদৃশ্য-জ্ঞান ও সৃষ্টিজগতের উপর তোমার ক্ষমতার ভিত্তিতে আমাকে ততদিন বাঁচিয়ে রেখো, যতদিন আমার বেঁচে-থাকা কল্যাণময় বলে তুমি জানো। আমাকে তখনই নিয়ে যেয়ো, যখন তোমার জ্ঞান অনুযায়ী (আমার) চলে যাওয়া আমার জন্য কল্যাণময়। হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে চাই, যেন গোপনে ও প্রকাশ্যে তোমাকে ভয় করে চলতে পারি। আমি তোমার কাছে চাই, যেন সত্য কথা বলতে পারি রাগ ও সন্তুষ্টি-উভয়াবস্থায়। তোমার কাছে চাই, যেন মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারি দারিদ্র্য ও প্রাচুর্য-উভয়াবস্থায়। তোমার কাছে এমন অনুগ্রহ চাই, যা কখনও শেষ হবে না। তোমার কাছে চক্ষু-শীতলকারী নিরবচ্ছিন্ন (অনুগ্রহ) চাই। তোমার কাছে চাই, যেন তোমার সিদ্ধান্তে খুশি থাকি। তোমার কাছে মৃত্যুর পর আরামদায়ক জীবন চাই; তোমার কাছে চাই, (যেন) তোমার সত্ত্বার দিকে তাকানোর মিষ্টতা অনুভব করি। তোমার সঙ্গে এমনভাবে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ চাই, যেন কোনও কষ্টদায়ক বেদনা না থাকে, না থাকে পথ-ভোলানো কোনও পরীক্ষা। হে আল্লাহ্‌! ঈমানের সৌন্দর্যে আমাদের সুশোভিত করো এবং আমাদের সঠিক পথের দিশারী ও পথিক বানাও৷

‘আত্বা ইবনুস সাইয়্যিব (রহ) কর্তৃক তার পিতার মাধ্যমে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একবার) আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। ওই সালাত আদায়ে খুব বেশি সময় লাগেনি। তাই লোকদের মধ্য থেকে একজন বলে ওঠে, “আপনার এ সালাত আদায়ে তো বেশি সময় লাগল না!” আম্মার (রাঃ) বলেন, “(হ্যাঁ!) তা সত্ত্বেও (এর মধ্যে) আমি এমন কিছু দোয়া পড়েছি, যা আমি আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) এর কাছ থেকে শুনেছি৷” তিনি উঠে যাওয়ার পর লোকদের মধ্যে থেকে একজন তাঁর পেছনে পেছনে গিয়ে দোয়াটি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তিনি বলেন, (দোয়াটি হলো) - (দোয়াটি উপরে উল্লেখিত হয়েছে)

রেফারেন্সসহীহ। নাসাঈঃ ১৩০৫

সেটিংস

বর্তমান ভাষা