পরিচ্ছেদ: বিসমিল্লাহ্
৬৭. ভূমিকা
যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার পূর্বে بِسْمِ اللَّهِ বলা।বিসমিল্লাহ পাঠের ফযিলত নিম্নে বর্ণিত হল -
৬৮. মানুষের সঙ্গে শয়তানের খাওয়া বা রাত যাপন থেকে হিফাযত
জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শোনেছেন,«إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اًللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: لَا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ، فَلَمْ يَذْكُرِ اًللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ، وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اًللَّهَ عِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ: أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ»“মানুষ যখন নিজের ঘরে প্রবেশ ও খাওয়ার সময় আল্লাহর যিকির (স্মরণ) করে, তখন শয়তান স্বীয় সঙ্গীদেরকে বলে, এখানে তোমাদের জন্য রাত যাপন ও রাতের খানা কোনোটিরই সুযোগ নেই। আর যখন মানুষ আল্লাহর যিকির (স্মরণ) ছাড়া ঘরে প্রবেশ করে, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলে, এখানে তোমরা রাত যাপনের জায়গা পেয়ে গেছ। আর যখন খাওয়ার সময়ও আল্লাহর যিকির না করে তখন শয়তান স্বীয় সঙ্গীদেরকে বলে তোমরা এখানে রাত যাপনের জায়গা এবং খাবার উভয়টাই পেয়ে গেছ”। [মুসলিম, হাদীস নং ২০১৮]
৬৯. প্রত্যেক কাজ বরকতপূর্ণ করা
নবী (ﷺ) থেকে অনেক পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে যে, “প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যদি বিসমিল্লাহ দিয়ে, অন্য বর্ণনায় এসেছে, “যিকির দ্বারা” শুরু করা না হয়, “সেটা কর্তিত হবে।” অপর বর্ণনায় এসেছে, “সেটা লেজ কাটা হবে”। [তিরমিযী; আর আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুত তিরমিযী: ৪৯৬]
৭০. শয়তানের ক্ষতি থেকে হিফাযত
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “আদম সন্তানের গুপ্তাঙ্গ ও জিন্নের চোখের মাঝের পর্দা হলো বাথরূমে যাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া”। [অর্থাৎ বরকতহীন হবে, হাদীসটিকে একদল আলেম বিশুদ্ধ বলেছেন, যেমন ইবনুস সালাহ, নাওয়াওয়ী তাঁর আযকার গ্রন্থে। ইবন বায রহ .বলেন, হাদীসটি তার শাওয়াহেদ সহ হাসান হাদীস]
৭১. অভিজ্ঞতার ফসল
খালেদ ইবনুল ওয়ালিদ (রাঃ) যখন হীরায় অবতরণ করলেন, তাকে জানালো হলো যে সাবধান, বিষ সম্পর্কে সাবধান থাকবেন, অনারবরা আপনাকে বিষপানে হত্যা করতে পারে, তিনি তখন বললেন, নিয়ে এসো, নিয়ে আসা হলে তিনি তা হাতে নিলেন, এবং বিসমিল্লাহ বলে তা পান করে নিলেন, কিন্তু বিষ তার কোনো ক্ষতি করলো না। [বাইহাকী, আবু নু‘আইম, তাবরানী ও ইবন সা‘দ সহীহ সনদে তা বর্ণনা করেন, দেখুন, ইবন হাজার, তাহযীবুত তাহযীব, খ. ৩, পৃ. ১২৫]
৭২. স্মরণীয়
উপরে বর্ণিত সবই বিসমিল্লাহর ফযীলত। কাজেই প্রত্যেক মুসলিমের কাজ হলো সকল কাজে ও সর্বাবস্থায় ‘বিসমিল্লাহ’ বলার অভ্যাস গড়ে তোলা, যাতে কাজে-কর্মে পূর্ণ বরকত হয় এবং সাথে সাথে শয়তান থেকেও হিফাযত হয়।