পরিচ্ছেদ: বিপদ ও দূর্যোগের হিকমত এবং সে সময়ের করণীয়
১০৩
বিপদ-বালাই, দূর্যোগ, মহামারী হলো মহান স্রষ্টা আল্লাহর মহাজাগতিক অদৃষ্টবাদের বিধান। তিনি বলেছেন, “নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, ধন, প্রাণ এবং ফল-শস্যের কোনো একটির অভাবের দ্বারা পরীক্ষা করবো এবং আপনি ঐসব দৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন”। [জামেউস সহীহ, হাদীস নং ৩৩০৪]আলাই-বালাই আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন-কাফির উভয়ের ওপর আসে। তবে সেটা মুমিন বান্দার জন্য শাস্তির সাথে সাথে রহমতও। কারণ, এর দ্বারা তর আখেরাতের শাস্তি হালকা করা হয় অথবা তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়। অথবা তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় অথবা তার ঈমান ও সবরের পরীক্ষা হয়। অপরদিকে কাফেরের জন্য তার কুফুরী ও নাফরমানির সাজা হয়ে থাকে।যাই হোক বুদ্ধিমানের পরিচয় হলো, এর পরিণাম আল্লাহর তাকদীরের ওপর সোপর্দ করা। কখনো তিনি এক সম্প্রদায়কে বিপদে ফেলেন, অথচ অন্য সম্প্রদয় আরো বেশি অপরাধে লিপ্ত। কখনো আবার মুমিনকে পরীক্ষায় ফেলেন, কাফিরকে ঢিল দেন অথবা কাফিরদেরকে তাদের সৎ কাজের প্রতিদান হিসেবে দুনিয়াতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দান করেন। কাজেই আমাদের সসীম জ্ঞান দিয়ে আল্লাহর অসীম কুদরতের হিকমত জানা অসম্ভব।সারকথা হলো, আপদ-বালাইয়ের মূল কারণ বান্দার পাপ, অবাধ্যতা ও কুফুরী। এর ওপর কুরআন-হাদীসের অসংখ্য দলীল রয়েছে। কুরআন মাজীদে এসেছে, “মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পেড়েছে, তিনি তাদেরকে কোনো কোনো কর্মের শাস্তি আস্বাদান করান, যাতে তারা ফিরে আসে’’। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ৫৫]উরস ইবন আমীরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা কিছু লোকের ভুলের কারণে সকলকে ‘আযাব দেন না। অবশ্য ঐ অবস্থায় সকলকে ‘আযাব দেন, যখন হুকুম পালনকারীগণ শক্তি থাকা সত্ত্বেও অমান্যকারীদেরকে বাধা না দেয়। [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৪১]