পরিচ্ছেদ: সূরা আল-ইখলাস এবং মু‘আউওয়াযাতাইন (সূরা নাস ও ফালাক)
৫৮. ভূমিকা
সকাল সন্ধ্যা ও ঘুমের আগে তিনবার এবং প্রত্যেক সালাতের পর একবার পড়াঃ﴿قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ ٢ لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ ٣ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدُۢ ٤﴾ [الاخلاص: ١، ٤]﴿قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ ١ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ٢ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ٣ وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ ٤ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥﴾ [الفلق: ١، ٥]﴿قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ١ مَلِكِ ٱلنَّاسِ ٢ إِلَٰهِ ٱلنَّاسِ ٣ مِن شَرِّ ٱلۡوَسۡوَاسِ ٱلۡخَنَّاسِ ٤ ٱلَّذِي يُوَسۡوِسُ فِي صُدُورِ لنَّاسِ ٥ مِنَ ٱلۡجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ ٦﴾ [الناس: ١، ٦]সূরা আল-ইখলাস এবং মু‘আউওয়াযাতাইন (সূরা নাস ও ফালাক) পাঠের ফযিলত নিম্নে বর্ণিত হল -
৫৯. সব কিছুর জন্য যথেষ্ট
আব্দুল্লাহ ইবন খুবাইব (রাঃ) বলেন, প্রবল বৃষ্টি ও কঠিন অন্ধকারাচ্ছন্ন এক রাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খোঁজে বের হলাম আমাদের ইমামতি করার জন্য। দীর্ঘক্ষণ অনুসন্ধানের পর তাকে পেলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, বল। আমি নীরব রইলাম। তিনি পুনরায় বললেন, বল। আমি নীরব রইলাম। সকাল সন্ধ্যায় তিনবার তুমি পড়ে নাও-قُلْ هُوَ اللَّهُ أحَدٌقُلْ أعُوْذُ بِرَبِ الْفَلَقِقُلْ أعُوْذُ بِرَبِ النَّاسِযা তোমার জন্য সব কিছু থেকে যথেষ্ট হবে। [তিরমিযী ৩/১৮৩]
৬০. দু’টি উত্তম সূরা যার বিনিময়ে চাওয়া যায় এবং যার দ্বারা আশ্রয় চাওয়া যায়
উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “হে উক্ববা আমি পঠিত দু’টি উত্তম সূরা সম্পর্কে জানাব। কুল আউযু বিরাব্বিন নাস, কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। হে উকবা, যখনই তুমি ঘুমাবে বা ঘুম থেকে উঠবে তখনই এ দু’টি সূরা পড়বে। কোনো যাচ্ঞাকারী কিংবা কোনো আশ্রয়প্রার্থী এ দু’টির মতো অন্য কোনো কিছু দিয়ে আশ্রয় চায় ন।” [জামেউল উসুল ৪৯১/৪২৯]
৬১. জ্বিন-ইনসানের অনিষ্ট থেকে রক্ষাকারী
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে, তিনি বলেন, সূরা নাস ও ফালাক নাযিল হওয়ার আগ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিন্ন-ইনসানের চোখ লাগা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন। এ দুই সূরা নাযিল হওয়ার পর এ দু’টির ওপর আমল শুরু করেন এবং বাকী সব ছেড়ে দেন। [তিরমিযী ২/২০৬]