পরিচ্ছেদ: জামা‘আতের সাথে ফজরের সালাত আদায়
৯৪
প্রতিদিন তার নির্দিষ্ট সময়ে জামা‘আতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করা।মানব ও জ্বিন শয়তান থেকে হিফাযতে থাকার সালাতমুসলিম রহ. জুনদুব ইবন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,«من صلى الصبح في جماعةٍ فهو في ذمة اًللَّه، فلا يطلبنكم اًللَّه في ذمته بشيء، فإنه من يطلبه من ذمته بشيء يدركه ثم يكبه على وجهه في نار جهنم»“যে কেউ সকালের (ফজরের) সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করলো, সে তো আল্লাহর যিম্মাদারীতে চলে গেলো। সুতরাং আল্লাহ যেনো তোমাদেরকে তার যিম্মাদারীর কোনো কিছুতে পাকড়াও না করেন। কারণ, যাকে আল্লাহ তার যিম্মাদারীতে থাকা কোনো বিষয়ের ব্যাপারে ধরার জন্য পাবেন তাকে তো জাহান্নামের আগুনে অধোমুখে নিক্ষেপ করবেন”। [ইমাম মুসলিম, (২/১২৫)]হাদীসের অর্থ হচ্ছে, “যে কেউ একমাত্র আল্লাহর একনিষ্ঠ করে ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করবে, সে দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর নিরাপত্তা ও অঙ্গীকারে চলে যাবে”। আর হাদীসের ভাষ্য, “সুতরাং আল্লাহ যেনো তোমাদেরকে তার যিম্মাদারীর কোনো কিছুতে পাকড়াও না করেন” এর অর্থ হচ্ছে, এমন কোনো কাজ করা থেকে নিষেধ করা যা তাকে আল্লাহর পাকড়াওয়ের ভিতর ফেলবে, সেটা হচ্ছে, যে কেউ ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করবে তার সাথে যেন কোনো অপছন্দনীয় কাজ করা না হয়। হাদীসে বর্ণিত, ‘তাকে নাগালে পাবেন’ এর অর্থ তাকে পাকড়াও করবেন। কারণ তাঁর পাকড়াও থেকে কোনো পলায়নকারীর পালানোর স্থান নেই, যদি তিনি তাকে তালাশ করেন।সুতরাং দেখুন, যে ব্যক্তির ফজরের সালাত ছুটে যায় কিভাবে তার দিন যাবতীয় অপছন্দনীয় বিষয়ে পূর্ণ থাকে। আর তার বিপরীতটিও দেখুন। আর এ বিষয়টি অত্যন্ত পরীক্ষীত সত্য।