০১

সূরা আল-ফাতিহা পড়া

০২

আয়াতুল করসী

০৩

সূরা আল-বাকারা-এর শেষ দুই আয়াত

০৪

সূরা আল-ইখলাস এবং মু‘আউওয়াযাতাইন (সূরা নাস ও ফালাক)

০৫

লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

০৬

বিসমিল্লাহ্‌

০৭

বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদ্বুররু মা'আসমিহি...

০৮

আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব

০৯

হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু...

১০

বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু 'আলাল্লাহি...

১১

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু...

১২

আউযুবিল্লাহিল 'আযীম ওয়াবি ওয়াজহিহিল কারিম...

১৩

ইস্তেগফার ও সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার

১৪

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওপর বেশি বেশি দুরূদ পড়া

১৫

জামা‘আতের সাথে ফজরের সালাত আদায়

১৬

আস্তাওদি'উকুমুল্লাহুল্লাযী লা তুদ্বি'উ ...

১৭

আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি 'আফানী মিম্মাব তালাকা বিহি ...

১৮

গোপনে ও প্রকাশ্যে সদকা করা

১৯

গুনাহ থেকে দূরে থাকা

২০

চোখ লাগা থেকে হিফাযত

২১

শয়তানদের ছড়িয়ে পড়ার সময় শিশুদের হিফাযত করা

২২

বিপদ ও দূর্যোগের হিকমত এবং সে সময়ের করণীয়

২৩

মুমিন ও সৎ লোকদের বিপদে পতিত হওয়ার ভিতর হিকমত ও কল্যাণ নিহিত

২৪

প্রতিদিনের সংক্ষিপ্ত আমল

২৫

এমন কিছু বিশেষ আমল যার ওপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিরাট সাওয়াব ও পুরস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন

পরিচ্ছেদ: এমন কিছু বিশেষ আমল যার ওপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিরাট সাওয়াব ও পুরস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন

১১২. যিকিরের ফযীলত

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, দু’টি কালেমা এমন আছে যা আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়, জবানে খুব হালকা এবং মিযানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। সে কালেমা গুলো এই- سُبْحَانَ اًللَّهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَ اًللَّهِ الْعَظِيْمِ[আল জাওয়াবুল কাফী (পৃ: ৮)]জুওয়াইরিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) তার কাছ থেকে ফজরের সালাতের সময় বেরিয়ে গেলেন, আর তিনি সালাতের স্থানে যিকিরে লিপ্ত রইলেন। নবী (ﷺ) চাশতের সালাতের সময় ফিরে এলেন। তিনি তখনও পূর্বের অবস্থাতেই বসে আছেন। নবী (ﷺ) তখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি ঐ অবস্থায়ই আছ, যে অবস্থায় আমি তোমাকে রেখে গিয়েছিলাম?তিনি উত্তর দিলেন জী, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বললেন: তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আমি চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি। সেগুলোকে যদি তোমার সকাল থেকে এ পর্যন্ত কৃত সমস্ত আমলের মোকাবেলায় ওজন করা হয়, তাহলে সে কাব্যগুলোই ভারী হয়ে যাবে। বাক্য গুলো হলো- سُبْحَانَ اًللَّهِ وَبِحَمْدِه عَدَدَ خَلْقِه وِرِضَا نَفْسِه وَزِنَةَ عَرْشِه وَمَدَادَ كَلِمَاتِهদোয়ার অর্থ: আমি আল্লাহ তা‘আলার তাসবীহ ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তাঁর সমস্ত মাখলুকের সংখ্যা পরিমাণ, তাঁর সন্তুষ্টি পরিমাণ, তাঁর ‘আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর কালেমাসমূহ লেখার কালি পরিমান। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৬৮]জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللَّهِ العَظِيمِ وَبِحَمْدِهِবলে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগিয়ে দেওয়া হয়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৯১৩]আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধায় একশত বার এ দোয়া পড়বে سُبْحَانَ اللَّهِ العَظِيمِ وَبِحَمْدِهতার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার থেকে বেশি হয়। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩৪৬৫]

১১৩. সালাত ও আযানের ফযীলত

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি খানা খেয়ে এ দোয়া পড়ল-اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنِيْ هَذَا الطعَامَ وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍদোয়ার অর্থ: “‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এ খানা খাইয়েছেন এবং আমার চেষ্টা ও সামর্থ ছাড়া আমাকে নসীব করছেন।” তার অতীত-ভবিষ্যতের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।"আর যে ব্যক্তি কাপড় পরিধান করে এ দোয়া পড়ল-اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيْه مِنْ غَيْر حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍদোয়ার অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এ কাপড় পরিয়েছেন এবং আমার চেষ্টা ও সামর্থ ছাড়া আমার নসীবে জুটিয়েছেন।” তার অতীত-ভবিষ্যতের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। [সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৪০২৩]

১১৪. আয়াতের ফযীলত

আবুদ দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদে থাকবে। এক বর্ণনায় সূরা কাহাফের শেষ দশ আয়াত মুখস্থ করার কথা উল্লেখ আছে। [মুসতাদরাকে হাকেম ১/৫১৮]আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কুরআনে কারীমে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা রয়েছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তা হলো -সূরা তাবা-রাকাল্লাযী। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৮৩]জুনদুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য কোনো রাতে সূরা ইয়াসীন পড়ে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৮৯১]আনাস ইবন মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন ইখলাসের সাথে জামা‘আতে সালাত আদায় করে, তার জন্য দু’টি পরওয়ানা লেখা হয়। ১. জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরওয়ানা।২. মুনাফেকী থেকে মুক্তির পরওয়ানা। [ইবন হিববান ৬/৩১২]আউস ইবন আউস সাকাফী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন উত্তমরূপে গোসল করে, অতি প্রত্যুষে মসজিদে যায়, সওয়ারিতে আরোহণ না করে পায়ে হেঁটে যায়, ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ সহকারে খুৎবা শোনে, খুৎবার সময় কোনো অহেতুক কথা বলে না, সে প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছর সাওম ও এক বছর রাতের ইবাদতের সাওয়াব লাভ করবে। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৯১]আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, লোকেরা যদি আযান ও প্রথম কাতারে সালাত আদায়ের সাওয়াব জানতো এবং লাটারী ছাড়া আযান ও প্রথম কাতার অর্জন করা সম্ভব না হতো, তবে অবশ্যই তারা লটারী করতো। [সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৪৫]আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক বার রাকাত সালাত পড়ার পাবন্দী করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে মহল তৈরি করেন। চার রাকাত সালাত জোহরের পূর্বে, দুই রাকাত জোহরের পরে, দুই রাকাত মাগরিবের পর, দুই রাকাত ইশার পর এবং দুই রাকাত ফজরের পূর্বে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১৫]উসমান ইবন আফ্ফান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলার যিকিরে মশগুল থাকে, অতঃপর দুই রাকাত নফল সালাত পড়ে, সে হজ ও উমরার সাওয়াব লাভ করে, আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনবার বলেছেন: পরিপূর্ণ হজ ও উমরা, পরিপূর্ণ হজ ও উমরার পরিপূর্ণ হজ ও উমরার সাওয়াব লাভ করে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৯১]

১১৫. অসুস্থতা ও মৃত্যু

আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাযায় হাযির হয় এবং জানাযার সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকে, তার এক কীরাত নেকী লাভ হয়। আর যে ব্যক্তি জানাযায় হাযির হয় এবং দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত জানাযার সাথে থাকে, তার দুই কীরাত নেকী লাভ হয়। [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৮৬]রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, দুই কীরাত কী? তিনি উত্তর দিলেন, দু’টি বড় পাহাড়ের সমান। [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৮৬]অপর বর্ণনায় রয়েছে, তন্মধ্যে ছোট পাহাড়টি উহুদ পাহাড়ের মতো। [ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৮৯]মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে মুমিন আপন কোনো মুমিন ভাইয়ের মুসীবতে তাকে সবর করার ও শান্ত থাকার জন্য বলে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তাকে ইজ্জতের পোশাক পরাবেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৯২]

১১৬. সদকা

আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যে মুসলিম কোনো অসুস্থ মুসলিমকে সকালে দেখতে যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর যে সন্ধ্যায় দেখতে যায়, সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে সে একটি বাগান পায়। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৬০১]আবু মুসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ সদকা করা। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, যদি সদকা করার মতো কিছু তার কাছে না থাকে, তাহলে কী করবে?তিনি উত্তর দিলেন: নিজ হাতে মেহনত মজদুরী করে নিজের উপকার করবে এবং সদকাও করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, এটাও যদি না করতে পারে, অথবা (করতে পারে তবুও) করলো না?তিনি উত্তর দিলেন: কোনো অসহায় মুখাপেক্ষী ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, যদি তাও না করে? তিনি উত্তর দিলেন: কাউকে ভালো কথা বলে দিবে।লোকেরা আবার জিজ্ঞেস করলো, যদি এটাও না করে? তিনি উত্তর দিলেন: তাহলে কারো ক্ষতি করা হতে বিরত থাকবে। কেননা, এটাও তার জন্য সদকা। [তিরমিযী, হাদীস নং ৯৬৯]আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আপন (মুসলিম) ভাইয়ের জন্য মুচকি হাসি সদকা, কাউকে তোমার সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা সদকা, কোনো পথভোলাকে পথ বলে দেওয়া সদকা, দূর্বল দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে রাস্তা দেখানো সদকা, রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা, হাড্ডি (ইত্যাদি) সরিয়ে দেওয়া সদকা এবং তোমাদের নিজের বালতি হতে নিজ (মুসলিম) ভাইয়ের বালতিতে পানি ঢেলে দেওয়া সদকা। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০২২]হুযাইফা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের পূর্বে কোনো উম্মতের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল, যখন মালাকুল মঊদ তার রূহ কবজ করার জন্য আসল (এবং রূহ কবজ হওয়ার পর সে এ দুনিয়া ছেড়ে অন্য জগতে চলে গেল) তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কি দুনিয়াতে কোনো নেক আমল করেছিলে?সে উত্তর দিল, আমার জানামতে (এরূপ) কোনো আমল আমার নেই। তাকে বলা হলো, (তোমার জীবনের ওপর) দৃষ্টি দাও (এবং চিন্তা করে দেখ।)সে উত্তর দিল, আমার জানামতে (এরূপ) কোনো আমল আমার নেই, তবে দুনিয়াতে আমি মানুষের সাথে বেচা-কেনা করতাম। সে ক্ষেত্রে আমি ধনীদেরকে সুযোগ দিতাম আর গরীবদেরকে মাফ করে দিতাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৯৬৫]

১১৭. সাওম

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ এক দিনের বিনিময়ে জাহান্নাম এবং সে ব্যক্তির মাঝে সত্তর বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। [সুনান নাসাঈ, হাদীস নং ২২৪৭]আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, ‘আরাফার দিনের সাওম তার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মুছে দিবে, আর আশুরার দিনের সাওম তার পূর্বেবর্তী এক বছরের গুনাহ মুছে দিবে। [সহীহ মুসলিম ১/৩৬৮]

১১৮. যিলহজের প্রথম দিনের আমল

উবাই ইবন কা‘ব তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, (একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলাম) হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার ওপর অধিক পরিমাণে দুরূদ পাঠ করতে চাই। কাজেই আমি আমার দোয়া ও যিকিরের সময় থেকে দুরূদের জন্য কত সময় নির্দিষ্ট করবো? তিনি উত্তর দিলেন: যে পরিমাণ তুমি চাও। আমি বললাম: এক চতুর্থাংশ সময়? তিনি উত্তর দিলেন: তুমি যা চাও। তবে যদি বেশি করো তা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি বললাম: তাহলে কি অর্ধক করবো। তিনি উত্তর দিলেন তুমি যা পছন্দ কর। তবে যদি আরো বেশি কর তা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমি বললাম তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ করি। তিনি উত্তর দিলেন। যে পরিমাণ তুমি ইচ্ছা কর। তবে যদি আরো বেশি কর তবে তা তোমার পক্ষে উত্তম হবে। আমি বললাম: তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় আপনার ওপর দুরূদ পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করবে। তিনি তখন বললেন: তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমার সব চিন্তা দূর করে দিবেন এবং তোমার গুনাহও মুছে দিবেন। [তিরমিযী ৭/১৫২]শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ.-কে এ হাদীসের তাফসীর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, [ইবনুল কাইয়্যেম, জালাউল আফহাম, পৃ. ৭৯] “উবাই ইবন কা‘ব (রাঃ)র কিছু দোয়া ছিল যা তিনি নিজের জন্য করতেন। তখন তিনি নবী (ﷺ)-কে প্রশ্ন করলেন, আমি কি সে দোয়ার এক চতুর্থাংশ আপনার জন্য সালাত-সালামে আদায়ে ব্যয় করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তার থেকেও তুমি বাড়াও তবে তা তোমার জন্য কল্যাণকর হবে। তখন উবাই বললেন, তাহলে কী অর্ধেক দোয়া আপনার জন্য সালাতা-সালামে ব্যয় করবো? তখন নবী (ﷺ) বললেন, যদি তুমি এর চেয়েও বাড়াও তবে তা তোমার জন্য উত্তম হবে। শেষ পর্যন্ত উবাই (রাঃ) বললেন, তাহলে কি আমি আমার দোয়ার স্থলে সবটুকুই আপনার জন্য সালাত-সালাম আদায়ে ব্যয় করব? তখন নবী (ﷺ) বললেন, “তাহলে তা তোমার যাবতীয় চিন্তা-ক্লেশের জন্য যথেষ্ট হবে আর তোমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে”। কারণ যে কেউ নবী (ﷺ)-এর উপর একবার সালাত-সালাম পাঠ করবে আল্লাহ তার জন্য সেটার বিনিময়ে দশবার সালাত-সালাম পাঠ করবেন।”ইমাম শাওকানী বলেন, “এ দু’টি অভ্যাসে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কারণ যাকে আল্লাহ তা‘আলা চিন্তা-ক্লেশ থেকে মুক্তি দিবেন সে তো দুনিয়ার যাবতীয় কষ্ট ও তার আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি থেকে মুক্তি লাভ করল; কারণ প্রতিটি কষ্টই চিন্তা-ক্লেশ থেকে উদ্ভূত যদিও তার পরিমাণ কম হয়। আর আল্লাহ যার গুনাহ ক্ষমা করেছে সে তো আখেরাতের কষ্ট থেকে নিরাপদ হয়ে গেল, কারণ আখেরাতে তো কেবল বান্দার গুনাহই বান্দাকে ধ্বংস করবে”। [তুহফাতুয যাকেরীন, পৃ. ৩০]

১১৯. ইলম ও নিয়ত

নবী (ﷺ) বলেছেন, প্রকৃত পক্ষে দুনিয়া হলো চার ব্যক্তির জন্য।১. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ তা‘আলা সম্পদ ও ইলম উভয় দান করেছেন। তবে সে তা খরচ করতে আপন রবকে ভয় করে (অর্থাৎ হারাম পথে ব্যয় করে না।), আত্মীয় স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মালর হক মোতাবেক আমল করে (অর্থাৎ যথাস্থানে খরচ করে)। ঐ ব্যক্তি হলো সর্বোচ্ছ মর্যাদার অধিকারী।২. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ ইলম দান করেছেন; কিন্তু সম্পদ দান করেন নি। তবে সে সত্য এবং সঠিক নিয়তে বলে যদি আমার মাল থাকত, তাহলে আমি অমুকের ন্যায় সাওয়াবের পথে খরচ করতাম। এ দু’ব্যক্তির সাওয়াব একই সমান।৩. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ মাল দিয়েছেন, কিন্তু ইলম দান করেন নি। ইলম না থাকার দরুন সে নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। এতে সে আল্লাহকে ভয় করে না, আত্মীয়-স্বজনের আর্থিক হক আদায় করে না এবং নিজ সম্পদ হক পথে ব্যয় করে না। এ ব্যক্তি হলো সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পর্যায়ের।৪. এমন বান্দা- যার কাছে মালও নেই, ইলমও নেই। সে আকাংখা করে বলে, যদি আমার নিকট সম্পদ থাকত, তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির মতো (যেখানে সেখানে) ব্যয় করতাম। এ বান্দাও তার নিয়ত অনুযায়ী হবে এবং তাদের গুনাহ হবে বরাবর অর্থাৎ মন্দ নিয়তের কারণে গুনাহের ক্ষেত্রে সে হবে তৃতীয় ব্যক্তির সমান। [তিরমিযী, হাদীস নং ২২৬৭]আবু বাকরাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তুমি হয়ত আলেম হও অথবা তালেবে ইলম (ইলমের তালাশকারী) হও অথবা মনোযোগ সহকারে ইলমের শ্রবণকারী হও অথবা ইলম ও আলেমদের ভালোবাস। (এ চার ছাড়া) পঞ্চম প্রকার হয়ো না, তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে। পঞ্চম প্রকার হলো তুমি ইলম ও আলেমদের সাথে শক্রতা পোষণ কর। [মাজমায়ে যাওয়ায়েদ ১/৩২৮]আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রাঃ)মা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, মুসলিম যখনই কোনো ক্লান্তি, রোগ, চিন্তা কষ্ট ও পেরেশানীতে পতিত হয়; এমনকি একটি কাঁটাও ফুটে তবে এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৬৪১]সাহল ইবন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য তার উভয় চোয়াল ও উভয় পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গের দায়িত্ব গ্রহণ করবে (অর্থাৎ মুখ ও গুপ্তাঙ্গকে হারাম পন্তায় ব্যবহার করবে না), আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নিবো। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪৭৪]সাহল ইবন হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি একান্ত নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর কাছে শাহাদাত কামনা করবে, আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদায় পৌঁছান, যদিও সে বিছানায় (অর্থাৎ জিহাদ না করে ঘরে এমনিতে) মৃত্যু বরণ করে। [সহীহ মুসলিম ২/১৪১]সাহল ইবন সা‘দ, (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ জিহাদে যেয়ে) একদিন পাহারা দেওয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার ওপর সমস্ত কিছু থেকে উত্তম। [সহীহ বুখারী ১/৪০৫]

১২০. আত্মীয়তার

উম্মে সালামাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে মহিলার এ অবস্থায় মৃত্যু হয় যে, স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে, সে জান্নাতে যাবে। [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৬১]আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ কন্যা সন্তানদের কোনো বিষয়ের ওপর জিম্মাদারী গ্রহণ করল এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করল, তবে এ কন্যাগণ তার জন্য জান্নামের আগুন থেকে রক্ষার অসীলা হবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯৯৫]আনাস ইবন মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এটা কামনা করে যে, তার রিযিক প্রশস্ত হোক ও তার হায়াত দীর্ঘ হোক, তার উচিৎ নিজ আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯৮৬]

১২১. মহব্বত ও ইহসান

এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে নিবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ্! কিয়ামত কবে হবে? তিনি উত্তরে বললেন, কিয়ামতের জন্য তুমি কী প্রস্তুত রেখেছো? লোকটি বলল, আমি কোনো আমল করতে পারি নি, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মহব্বত করি।রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যাকে তুমি মহব্বত কর (কিয়ামতের দিন) তার সাথেই তুমি থাকবে। আনাস (রাঃ) বলেন, ইসলামের আবির্ভাবের পর আমি মুসলিমদেরকে কখনো এরূপ খুশি হতে দেখি নি, যেরূপ তারা একথা শুনে খুশি হয়েছেন। [সহীহ বুখারী ২/৯১১]উবাদা ইবন সামেত (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, মুমিন নর-নারীর জন্য যে ব্যক্তি মাগফিরাতের দোয়া করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর বিনিময়ে একটি করে নেকী লিখে দিবেন।আবু মাসউদ বদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সৎকাজের পথ দেখায়, সে সৎ কর্মকারীদের সমান সাওয়াব লাভ করে।সাহল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি এবং এতীমের লালন-পালনকারী জান্নাতে এরূপ কাছাকাছি হব- একথা বলে তিনি শাহাদাত এবং মধ্যমা আঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করেছেন এবং দুই আঙ্গুলের মাঝখানে সামান্য ফাঁকা রেখেছেন। [মাজমায়ে যাওয়ায়েদ ১/৩৫২]সাফওয়ান ইবন সুলাইম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, বিধবা নারী ও মিসকীনের প্রয়োজনীয় কাজে দৌড় ঝাঁপকারীর সাওয়াব আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর ন্যায় অথবা ঐ ব্যক্তির সাওয়াবের ন্যায়, যে দিনে সাওম পালন করে ও রাতভর ইবাদত করে। [সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১২৯]আবু দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আপন মুসলিম ভাইয়ের সম্মান রক্ষার জন্য প্রচেষ্টা চালায় আল্লাহ তা‘আলা নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন যে, কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি থেকে জাহান্নামের আগুন হটিয়ে দিবেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৩০৪]বারা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, মুমিন যখন মুমিনের সাথে সাক্ষাৎ করে, তাকে সালাম দেয় এবং তার হাত ধরে মুসাফাহা করে, তখন উভয়ের গুনাহ এমনভাবে ঝরে পড়ে, যেমন বৃক্ষ থেকে পাতা ঝরে পড়ে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০০৬]

১২২. উত্তম চরিত্র

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, মুমিন আপন সচ্চরিত্র দ্বারা সাওম পালনকারীর এবং রাতভর ইবাদতকারীর মর্যাদা লাভ করে থাকে। [মুসনাদে আহমদ ৬/৪৪৯]মু‘আয ইবন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি গোস্বা পূর্ণ করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও গোস্বা দমন করে নেয় (অর্থাৎ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যার ওপর গোস্বা তাকে কোনো রকম শাস্তি দেয় না) কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সমস্ত মাখলুকের সামনে ডাকবেন এবং অধিকার দিবেন যে, জান্নাতের হুরদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা নিজের জন্য পছন্দ করে নাও। [মাজমায়ে যাওয়ায়েদ ৮/৭৫]আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের কিনারায় একটি ঘরের জিম্মাদারী নিচ্ছি, যে হকের ওপর থেকেও ঝগড়া ছেড়ে দেয়। ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যখানে একটি ঘরের জিম্মাদারী নিচ্ছি, যে ঠাট্রা-বিদ্রেুপের মধ্যেও মিথ্যা কথা বর্জন করে। আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে একটি ঘরের জিম্মাদারী নিচ্ছি, যে নিজের চরিত্রকে ভালো বানিয়ে নেয়। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭৯৮]

১২৩. আল্লাহর ভালোবাসা

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যার চিন্তা শুধুই আখেরাত হয়, আল্লাহ তার অন্তরে অমুখাপেক্ষীতা সৃষ্টি করে দেন। তার জমাকৃত বা গোছানো বিষয়াবলী শামাল দেন। দুনিয়া তার কাছে তুচ্ছ হয়ে আসে। অপরদিকে যার চিন্তা শুধুই দুনিয়া হয়, আল্লাহ তা‘আলা তার সামনে সদা অভাব অনটন রেখে দেন, তার গোছানো বিষয়াবলী ছড়িয়ে দেন, দুনিয়া তার কাছে নির্দিষ্ট ও পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণই এসে থাকে (অর্থাৎ যতই সে মেহনত করুক না কেন, যেটুকু তার তকদীরে আছে, সেটুকুই সে প্রাপ্ত হয়) [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭৭৭]উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যদি আল্লাহ তা‘আলার ওপর পরিপূর্ণভাবে তাওয়াক্কুল করতে, তাহেল তোমাদের এমনভাবে রুজী দেওয়া হত, যেমনভাবে পাখীদের রুজী দেওয়া হয়ে থাকে। ওরা সকালে খালি পেটে বের হয়ে যায় আর সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৮০০]

সেটিংস

বর্তমান ভাষা