পরিচ্ছেদ: জাদুটোনা থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
৭৬. ঈমানকে আরো শক্তিশালী করা
ভুমিকাচিকিৎসকরা সবসময়ই বলেন, প্রতিরোধ হল নিরাময়ের চেয়ে শ্রেয়। আমরা এক্ষেত্রে বলব: জাদুটোনার সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা বা নিরাময় হল এটি ঘটার আগেই নিজেকে এর হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা। নিকৃষ্ট জাদুকর যে তার আত্মা শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে যদি শয়তানের কাছে। তার উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য সাহায্য কামনা করেও তাতে চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ ইসলাম আমাদেরকে বলে দিয়েছে কিভাবে বিতাড়িত শয়তানের হাত থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে হবে। মুসলমানরা জাদুটোনার কুপ্রভাব থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করবেন।
ঈমানকে আরো শক্তিশালী করাএকজন মুসলমানকে অবশ্যই নিজেকে ও তাওহীদের প্রতি তার বিশ্বাস আরো দৃঢ় করতে হবে। একজন মুসলিম এভাবেই তার ঈমান জোরদার করেন এবং আল্লাহর ভয় ব্যতীত অন্য সব কিছুর ভয়কে হৃদয় থেকে দূর করেন এবং কারো উপকার ও ক্ষতি করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে এ বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করে তোলেন। মুসলিমকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এসব উপায় হলো বাতাসের গতিবিধির মতো, যা তাদের নিয়ন্ত্রক ও সৃষ্টিকর্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং আল্লাহর আদেশ বা ইচ্ছা ব্যতিত এগুলো কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না।জাদুকরদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন:وَمَا هُم بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِঅর্থঃ অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। (আল বাকারা ২:১০২)وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ ۖ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِঅর্থঃ ‘আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন ক্ষতি পৌঁছান, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহের কোন প্রতিরোধকারী নেই। (ইউনুস ১০:১০৭)যারা আল্লাহর সত্যিকারের বান্দাহ, বিপদ ও সুখ উভয় সময়েই আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলেন, যাদের সব ধরনের ভয়ের কেন্দ্রবিন্দু একমাত্র আল্লাহ তা'আলা, তাদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নোক্ত আয়াতে:أَلَيْسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُঅর্থঃ আল্লাহ কি তার বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? (আল-যুমার ৩৯:৩৬)আল্লাহর প্রতি পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য ও দাসত্ব প্রয়োগ করার মাধ্যমে আসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা, তাদের উপর শয়তানের কোনো ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থাকে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন: إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌঅর্থঃ ‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। (সূরা আল হিজর ১৫:৪২) যার ঈমান শক্তিশালী, সে আল্লাহর দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে এবং তারই তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং তার জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। খুবই ক্ষীণ। আর জাদুকররা নিজেরাও একথা ভালোভাবেই জানে যে, তাদের মন্ত্র দ্বারা একমাত্র দুর্বল ঈমানের ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হবে।
ঈমানকে আরো শক্তিশালী করাএকজন মুসলমানকে অবশ্যই নিজেকে ও তাওহীদের প্রতি তার বিশ্বাস আরো দৃঢ় করতে হবে। একজন মুসলিম এভাবেই তার ঈমান জোরদার করেন এবং আল্লাহর ভয় ব্যতীত অন্য সব কিছুর ভয়কে হৃদয় থেকে দূর করেন এবং কারো উপকার ও ক্ষতি করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে এ বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করে তোলেন। মুসলিমকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, এসব উপায় হলো বাতাসের গতিবিধির মতো, যা তাদের নিয়ন্ত্রক ও সৃষ্টিকর্তার হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং আল্লাহর আদেশ বা ইচ্ছা ব্যতিত এগুলো কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না।জাদুকরদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন:وَمَا هُم بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِঅর্থঃ অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। (আল বাকারা ২:১০২)وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ ۖ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِঅর্থঃ ‘আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন ক্ষতি পৌঁছান, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহের কোন প্রতিরোধকারী নেই। (ইউনুস ১০:১০৭)যারা আল্লাহর সত্যিকারের বান্দাহ, বিপদ ও সুখ উভয় সময়েই আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলেন, যাদের সব ধরনের ভয়ের কেন্দ্রবিন্দু একমাত্র আল্লাহ তা'আলা, তাদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নোক্ত আয়াতে:أَلَيْسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُঅর্থঃ আল্লাহ কি তার বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? (আল-যুমার ৩৯:৩৬)আল্লাহর প্রতি পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য ও দাসত্ব প্রয়োগ করার মাধ্যমে আসে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা, তাদের উপর শয়তানের কোনো ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থাকে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন: إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌঅর্থঃ ‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই। (সূরা আল হিজর ১৫:৪২) যার ঈমান শক্তিশালী, সে আল্লাহর দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে এবং তারই তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং তার জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। খুবই ক্ষীণ। আর জাদুকররা নিজেরাও একথা ভালোভাবেই জানে যে, তাদের মন্ত্র দ্বারা একমাত্র দুর্বল ঈমানের ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হবে।
৭৭. প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় আযকার তেলাওয়াত করা
জাদুটোনা থেকে বেঁচে থাকার সর্বোকৃষ্ট ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় আযকার তেলাওয়াত করা। কারণ এ আযকার জাদুটোনা করার আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এর হাত থেকে রক্ষা করে, এর প্রভাব থেকে রোগীকে বাঁচায় এবং সকল মন্দ প্রভাব দূর করে, এবং জাদুটোনায় আক্রান্ত হয়ে গেলে তার প্রতিকার করে। ইবনে কাইয়ুম (রহঃ) বলেন:জাদুটোনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর আল্লাহ প্রদত্ত উপায়, একটি মাত্র পদ্ধতি যা সকল মন্দ প্রভাব দূর করে এবং এগুলোকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করে, সেটি হল যিকির, কুরআনের আয়াত ও দোয়া, এসব তেলাওয়াতের ফলে জাদুটোনার কার্যকারিতা বাতিল হয়ে যায়। এগুলো যত শক্তিশালী হবে, তত দ্রুত এরা ছড়িয়ে পড়বে। এটা দুটি সেনাবাহিনীর। মুখোমুখি হওয়ার মত, যেভাবে উভয় বাহিনী অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সজ্জিত, উভয়েরই বিপুল ক্ষমতা রয়েছে; দুই বাহিনীর মধ্যে যারা বিপক্ষ বাহিনীকে। পরাভূত করতে পারবে, তারাই বিজয়ী ঘোষিত হবে।হৃদয় ও মন যদি আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন থাকে, নিয়মিত যদি দোয়া, যিকির পাঠ করা হয়, ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয় এবং পূর্ণ মনোযোগে বির পাঠ করে, তাহলে জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আগে এটাই হবে জাদুটোনার প্রভাব দূর করার সর্বোৎকৃষ্ট ও শক্তিশালী উপায় এবং আক্রান্ত হওয়ার পরে এটাই হবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিকার ব্যবস্থা।জাদুকররা জানেন যে, তাদের জাদুটোনার পূর্ণাঙ্গ প্রভাব একমাত্র তাদের উপরই পড়তে সক্ষম যাদের হৃদয় দুর্বল এবং যারা সহজেই প্রভাবিত হয়, যারা নিজ ইচ্ছা ও আকাক্ষা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যারা সবসময় তুচ্ছ ও সামান্য বিষয় নিয়ে মেতে থাকেন। এ কারণেই যারা জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হয় তাদের অধিকাংশই নারী, শিশু, অজ্ঞ ব্যক্তিগণ এবং যারা দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করেন অথবা আল্লাহ ও তাওহীদের প্রতি যাদের বিশ্বাস দুর্বল তারা আক্রান্ত হন এবং যারা নিয়মিত যিকির, কুরআনের আয়াত ও দোয়া পাঠ করেন না তারাও। শেষকথা, জাদুটোনার কুপ্রভাবে তারাই আক্রান্ত হন, যারা দুর্বল, সহজেই প্রভাবিত হন এবং সবসময় তুচ্ছ বিষয় নিয়েই মেতে থাকেন।তারা বলেন: ভিকটিম নিজেই জাদুটোনার আক্রমণের সুযোগ করে দেন, কারণ আমরা জানি, কোনো মানুষ যে বিষয়ের উপর বেশি মনোযোগ দেয়, সেটির প্রতিই তার মন লেগে থাকে। সুতরাং, ব্যক্তির ঝোঁক যে দিকে, সেই দিকের তাড়নায়ই সে তার মন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেসব আত্মা পরাভূত হতে আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে থাকে, শয়তানের আত্মা কেবল সেগুলোকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কারণ তাদের হৃদয় সমূহ ইতোমধ্যেই এমন কিছুর দিকে ঝুঁকে গেছে যা মন্দ আত্মাদের কার্যসাধনে খুবই সহায়ক, তারা সহজেই শয়তান ও বদ জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায়। এর কারণ হলো এসব মানুষের মধ্যে কোনো আত্মিক শক্তি নেই, তারা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত নয়। সুতরাং আপনি খেয়াল করে দেখবেন, এসব মানুষের হৃদয় অন্তঃসারশূন্য, মনে কোনো শক্তি নেই, সংগ্রাম করার ক্ষমতা নেই, তাদের মন আগেই থেকেই এমন কিছুর দিকে ঝুঁকে থাকে, যার কারণে জ্বিনরা সহজেই তাদেরকে পরাভূত করে এবং জাদুকররা জাদুটোনা করে। [যাদ আল মা'আদ, ৩/১০৫]ইমাম আহমাদ ও আত-তিরমিযী আল হারিস আল আশআরী থেকে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন, এ হাদীসে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন:“...আমি তোমাদেরকে আল্লাহকে স্মরণ করার নির্দেশ দিচ্ছি, কারণ আল্লাহর যিকির হল ওই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত যাকে শত্রু ধাওয়া করেছে, আর সে-ও বাঁচার জন্য অবশেষে একটি দূর্গের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বাঁচালো। একইভাবে এক ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর যিকির ব্যতিত অন্য কোনো কিছু দিয়ে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না।” [আল মুসনাদে ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণিত, ৪০৮/২০২; আত-তিরমিযী:২৮৬৭, হাদিসটি সহীহ]
৭৮. খালি পেটে আযওয়াহ [মদিনায় উৎপাদিত এক ধরনের খেজুর] খেজুর খাওয়া
ইমাম বুখারী (রাহ) তার সহীহ হাদীস গ্রন্থে আমীর বিন সাদ থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা সা'দ বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন:“যে ব্যক্তি সকালে একটি আযওয়াহ খেজুর খাবে, রাত্রি না আসা পর্যন্ত ওই দিনে সে আর কোনো বিষ অথবা জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হবে না।” [ফাতহুল বারী, ১০/২৪৯] অন্য একজন এ সম্পর্কে বলেন, “সাতটি খেজুর”।আরেক বর্ণনায় এসেছে,“যে ব্যক্তি সকালে সাতটি আযওয়াহ খেজুর খাবে, সে ওই দিনে কোনো বিষ বা জাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত হবে না।”যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (ﷺ) কথার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে নিয়মিত খালি পেটে আযওয়াহ খেজুর খাবে, তার জন্য এ খেজুর এমন ভাবে কাজ করবে, যেন তাকে জাদুটোনার টিকা দেয়া হয়েছে, জাদুটোনা অথবা কোনো বিষই তাকে ক্ষতি করতে পারবে না। কিছু আলিম এ খেজুরের একটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছেন, এটি খুবই গরম এবং এটি রোগ দূর করার জন্য যথেষ্ট, তবে নবী করিম (ﷺ) জাদুটোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহই ভালো জানেন, ওই খেজুরে হয়তো এমন কোনো উপাদান রয়েছে যা মানুষকে বিষ ও জাদুটোনা থেকে সুরক্ষা দান করে। আমরা আল্লাহর রাসূলের (ﷺ) সব কথা বিশ্বাস করি, এমনকি আমরা যদি নাও জানি, সেটি কিভাবে কাজ করে তারপরও। মদিনার খেজুরের যে বিশেষ গুণাগুণ থাকতে পারে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, কিন্তু মদিনার খেজুর যদি পাওয়া না যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ যে কোনো খেজুরেই কাজ হবে।
৭৯. জাদুটোনা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হল জাদুকরের কাছে না যাওয়া
যেহেতু যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তার জন্য কোনো উপকার জাদুকরদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে না এবং যার কোনো সমস্যা নেই, তিনিও তাদের ক্ষতি থেকে নিরাপদ নন। যেসব শয়তান ও বদ জ্বিন জাদুকরদের সঙ্গে কাজ করে, তারাও বেশ ভালো করেই জানে যে, যেসব মুসলমান জাদুকরের দরজায় কড়া নাড়ে, তাদের ঈমান দুর্বল এবং আল্লাহর উপর তাদের কোনো আস্থা নেই, সুতরাং তাদের ক্ষতি করা বা তাদের ওপর আছর করা খুবই সহজ।