পরিচ্ছেদ: জাদুটোনার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে
৬০. যাদুর পরিচয় ও যাদুর সংজ্ঞা
যাদুর পরিচয় যাদুর আভিধানিক অর্থলাইছ (রহঃ) বলেনঃ যাদু হল এমন কর্ম যার মাধ্যমে শয়তানের নিকটবর্তী হয়ে তার সাহায্য নেয়া হয়।আজহারী (রহঃ) বলেনঃ মূলতঃ যাদু হল বস্তুর বাস্তবতাকে অবাস্তবে পরিণত করা।ইবনে ফারেস (রহঃ) বলেনঃ অসত্যকে সত্য বলে দেখানোকেই যাদু বলা হয়।
শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাফখরুদ্দীন আর-রাযী বলেনঃ শরীয়তের পরিভাষায় যাদু প্রত্যেক এমন নির্ধারিত বিষয়কে বলা হয় যার কারণ গোপন রাখা হয় এবং এর বাস্তবতার বিপরীত কিছু প্রদর্শন করা হয়। আর তা থেকে ও মিথ্যার আশ্রয়ভুক্ত। (আল মিসবাহুল মুনীরঃ ২৬৮)
শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাফখরুদ্দীন আর-রাযী বলেনঃ শরীয়তের পরিভাষায় যাদু প্রত্যেক এমন নির্ধারিত বিষয়কে বলা হয় যার কারণ গোপন রাখা হয় এবং এর বাস্তবতার বিপরীত কিছু প্রদর্শন করা হয়। আর তা থেকে ও মিথ্যার আশ্রয়ভুক্ত। (আল মিসবাহুল মুনীরঃ ২৬৮)
৬১. কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদু
জ্বিন ও যাদুর মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে; বরং জ্বিন ও শয়তানই হল মূলতঃ যাদুর প্রধান চালিকা শক্তি। কতিপয় লোক জ্বিনের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং যাদুও অস্বীকার করেছে। তাই আমি এখানে এসবের অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ উপস্থাপন করবঃপ্রথমঃ কুরআন দ্বারা প্রমাণঃ১. সূরা আহকাফ (৪৬:২৯)وَإِذْ صَرَفْنَآ إِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْءَانَঅর্থঃ আর স্মরণ কর, যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কুরআন পাঠ শুনছিল।২. সূরা আনআম (৬:১৩০)يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ ءَايٰتِى وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هٰذَاঅর্থঃ ‘হে জিন ও মানুষের দল, তোমাদের মধ্য থেকে কি তোমাদের নিকট রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করত এবং তোমাদের এই দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমাদেরকে সতর্ক করত?’৩. সূরা রহমান (৫৫:৩৩)يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ ﴿٣٣﴾অর্থঃ হে জিন ও মানবজাতি, যদি তোমরা আসমানসমূহ ও যমীনের সীমানা থেকে বের হতে পার, তাহলে বের হও। কিন্তু তোমরা তো (আল্লাহর দেয়া) শক্তি ছাড়া বের হতে পারবে না।৪. সূরা জ্বীনঃ (৭২:১)قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا ﴿١﴾অর্থঃ বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি।৫. সূরা জ্বীন (৭২:৬)وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا ﴿٦﴾অর্থঃ আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ কতিপয় জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা তাদের অহংকার বাড়িয়ে দিয়েছিল।৬. সূরা আল মায়েদা (৫:৯১)إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّـهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ ﴿٩١﴾অর্থঃ শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না?৭. সূরা নূর (২৪:২১)يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا لَا تَتَّبِعُوا خُطُوٰتِ الشَّيْطٰنِ ۚ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوٰتِ الشَّيْطٰنِ فَإِنَّهُۥ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَآءِ وَالْمُنكَرِঅর্থঃ হে মুমিনগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। আর যে শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করবে, নিশ্চয় সে অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেবে।কুরআনে এ সম্পর্কে অনেক প্রমাণাদি রয়েছে। আর একথা সকলেই জানে যে, কুরআনে কারীমে একটি সূরাই সূরায়ে জ্বিন সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। আর প্রমাণের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, জ্বিন একবচন শব্দটি কুরআনে কারীমে ২২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। আর الجان “আল-জান” বহুবচন শব্দটি সাতবার এবং الشيطان শব্দটি ৬৮ বার আর (الشياطين) বহুবচন শব্দটি সতের বার বর্ণিত হয়েছে। মূলকথা জ্বিন ও শয়তান সম্পর্কে কুরআনে বহু আয়াত রয়েছে।দ্বিতীয়তঃ হাদীস দ্বারা প্রমাণঃ১. ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ এক রাতে আমরা রাসূলের (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর আমরা রাসূল (ﷺ)-কে হারিয়ে ফেললাম। এ ব্যাপারে আমরা উপত্যকায় এবং বিভিন্ন গোত্রে খোঁজতে লাগলাম; কিন্তু না পেয়ে আমরা ধারণা করলাম যে, হয়ত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর সেই রাত খুব খারাপ রাত হিসেবে কাটালাম। যখন সকাল হল হঠাৎ দেখি হেরা গুহার দিক থেকে আসছেন। আমরা বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল! আপনাকে আমরা না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি তবুও আপনাকে পাইনি? এরপর রাতটি খুব খারাপ কাটিয়েছি।রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ “জ্বিনের এক আহ্বায়ক আমার কাছে আসে এরপর আমি তার সাথে চলে গেলাম এবং তাদেরকে আমি কুরআনে কারীম পড়ে শুনিয়েছি।”বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে চললেন সেই স্থানে এবং সেখানে আমাদেরকে তিনি জ্বিন সম্প্রদায়ের নিদর্শনসমূহ ও তাদের আগুন জ্বালানোর চিহ্নসমূহ দেখালেন। তারা রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেন তাদের খাদ্য সম্পর্কে। তিনি উত্তরে বলেনঃ তোমাদের জন্য প্রত্যেক সেই হাড় যার উপর (যবাই করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে, তোমাদের হাতের কাছে থাকে যাতে গোশত না হয় এবং তোমাদের পশুর গোবর তা তোমাদের জন্যে খাদ্য।অতঃপর রাসূল (ﷺ) বললেনঃ “সুতরাং তোমরা তা দিয়ে এস্তেঞ্জা করো না। নিশ্চয় তা হলো তোমাদের ভাই জ্বিনদের খাদ্য।” (মুসলিমঃ ৪/১৭০) ২. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেনঃ আমাকে রাসূল (ﷺ) বললেনঃ “আমি লক্ষ্য করেছি যে, তুমি ছাগল এবং মরুভূমিকে পছন্দ কর। সুতরাং তুমি যখন ছাগলের সাথে মরুভূমিতে থাকবে তখন তুমি নামাযের জন্য আযান দিবে তখন আযানের ধ্বনি খুব উঁচু করবে। কেননা নিশ্চয়ই মুয়াজ্জ্বীনের ধ্বনি জ্বিন, মানুষ এবং অন্য যারাই শুনবে কিয়ামতের দিন তার জন্যে সাক্ষ্য দিবে।” (মুয়াত্তা ইমাম মালেকঃ ১৬৮, বুখারীঃ ২/৩৪৩ ফাতহ, নাসায়ীঃ ২/১২ ও ইবনে মাজাহঃ ১২৩৯)৩. ইবনে আব্বাস (রাঃ) নিজ বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবাদের এক দলের সাথে উকাজ বাজারের দিকে রওয়ানা হন। ইতিমধ্যে শয়তানদের ও আকাশের খবরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তাদের উপর তারকা অগ্নিশিখা বর্ষিত হয়। যার ফলে তারা স্বীয় জাতির নিকট ফিরে আসে। উপস্থিত শয়তানরা জিজ্ঞেস করেঃ তোমাদের কি হয়েছে? তারা উত্তর দেয়ঃ আমাদের ও আকাশের সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের প্রতি তারকা অগ্নিশিখা বর্ষণ করা হয়েছে। তারা শুনে বলেঃ তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে স্বাভাবিক কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি; বরং বড় ধরণের কিছু ঘটে গেছে। সুতরাং তোমরা বিশ্বের পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত বিচরণ করে দেখ কি সে প্রতিবন্ধকতা যা তোমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে ঘটে গেছে। অতএব তারা প্রস্থান করে তেহামা অভিমূখে নবী (ﷺ)-এর দিকে। এমতাবস্থায় তিনি উকাজ বাজার অভিমূখে যাত্রাকালে নাখলা উপত্যকায় সাহাবাদেরকে নিয়ে ফজর নামায আদায় করছেন। যখন শয়তানরা (ফজরের) কুরআন তেলাওয়াত শুনল, তখন তাঁরা তা আরো মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা শুরু করল। অতঃপর তারা বললঃ আল্লাহর শপথ এটিই আমাদের ও আকাশ সংবাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সুতরাং তারা তখন সেখান হতে স্বীয় জাতির নিকট প্রত্যাবর্তন করে বলেঃ হে আমাদের জাতি আমরা নিশ্চয়ই এমন এক আশ্চর্য কুরআন শ্রবণ করেছি, যা সরল পথের দিশারী। সুতরাং তার প্রতি আমরা ঈমান এনে ফেলেছি। আর আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করব না। এরপর আল্লাহ তাঁর নবীর (ﷺ) প্রতি অবতীর্ণ করেনঃقُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا ﴿١﴾অর্থঃ বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি। (সূরা জ্বীনঃ ১)নিশ্চয়ই তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয় জ্বিনের কথা। (বুখারীঃ ২/২৫৩ ফাতহ সহ ও মুসলিমঃ ৪/১৬৮ নববীসহ শব্দগুলি বুখারীর) ৪. আয়েশা (রাঃ) স্বীয় বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “ফেরেশতা জাতি সৃষ্টি হয় নূর হতে, আর জ্বীনকে সৃষ্টি করা হয় অগ্নিশিখা হতে এবং আদমকে সৃষ্টি করা হয় তাই দিয়ে যা তোমাদেরকে বর্ণনা দেয়া হয়েছে।” (মুসনাদে আহমদঃ ৬/১৫৩, ১৬৮ ও মুসলিমঃ ১৮/১২৩ নববীসহ)৫. সাফিয়া বিনতে হুয়াই (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেনঃ “নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মত চলাচল করে।” (বুখারীঃ ৪/২৮২ ফাতহ সহ, মুসলিমঃ ১৪/১৫৫ নববীসহ)৬. আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেনঃ “যখন তোমাদের কেউ খাবার খাবে সে যেন ডান হাতে খায় এবং যখন পান করে তখন যেন ডান হাতেই পান করে। কেননা নিশ্চয়ই শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতেই পান করে।” (মুসলিমঃ ১৩/১৯১ নববীসহ)৭. আবু হুরাইরা (রাঃ) (রাঃ) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ এমন কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করে না যাকে শয়তান আঘাত করে না। সুতরাং শয়তানের আঘাতের ফলে সে সন্তান জন্মের সময় চীৎকার করে। তবে ঈসা ও তাঁর মাতা ব্যতীত।” (বুখারীঃ ৮/২১২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১২০ নববীসহ)৮. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এমন এক ব্যক্তির বর্ণনা দেয়া হল যে পূর্ণ রাত্রি সকাল পর্যন্ত ঘুমায়। তিনি বলেনঃ সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে বা তার কানে শয়তান পেশাব করে ফেলে। (বুখারীঃ ৩/২৮ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ৬/৬৪ নববীসহ)৯. আবু কাতাদা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সৎ স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে, আর মা স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ হতে। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন কিছু দেখে যা তার অপছন্দ হয়, সে যেন তার বাম দিকে তিনবার আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতত্বানির রাজীম বলে ফুঁক দেয়, তবে তাকে অবশ্যই তা কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারীঃ ১২/২৮৩ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৫/১৬ নববীসহ)১০. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের মধ্য হতে যখন কেউ হাই তোলে, তখন সে যেন স্বীয় হাত দ্বারা মুখ বন্ধ করে। কেননা শয়তান তাতে প্রবেশ করে। (মুসলিমঃ ১৮/১২২ নববীসহ ও দারমীঃ ১/৩২১)এই বিষয়ে আরও অনেক হাদীস রয়েছে। সুতরাং এখান থেকে প্রমাণিত হল যে, জ্বিন এবং শয়তানের অস্তিত্ব বাস্তব সত্য। এর মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।