পরিচ্ছেদ: জ্বিনের ক্ষতি এড়ানো এবং শয়তান থেকে রক্ষার দশটি উপায়
৫৯
১. শয়তানের ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।২. সূরা ফালাক ও নাস তেলাওয়াত করা, কারণ বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এ দুটি সূরা নাযিল না হওয়া পর্যন্ত জ্বিনের ক্ষতি ও মানুষের বদনজর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।৩. আয়াতুল কুরসী তেলাওয়াত করা। ৪. সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা। ৫. সূরা বাকারার শেষ দু আয়াত তেলাওয়াত করা। ৬. সূরা গাফিরের প্রথম অংশ তেলাওয়াত করা। ৭. বার বার নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করা:لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌউচ্চারণঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলক্ ওয়া লাহুল হামদ, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির।”অর্থঃ “আল্লাহ ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই, তাঁর কোনো অংশিদার নেই, নেই কোনো সহযোগী, এ রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য এবং তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।”৮. বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, বিভিন্ন অবস্থায় হাদিসে বর্ণিত আযকার পাঠ করা।৯. অযু করা ও সালাত আদায় করা।১০. অপ্রয়োজনীয় তাকানো, কথা বলা, খাওয়া এবং মানুষের সঙ্গে মেশা থেকে বিরত থাকা, কারণ এ চারটি বিষয় অমান্য করলে মানুষের আধ্যাত্মিকতা দুর্বল হয়ে যায় এবং এ অবস্থায় জ্বিন বা শয়তানের তার উপর ক্ষমতা অর্জন করা সহজ হয়ে যায়।