২৮৩. ইস্তিখারার দোয়া
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ اَللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ (وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ) خَيْرٌ لِي فِي دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ، فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ. [اَللَّهُمَّ] وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِهِ
আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আসতাখীরুকা বি’ইলমিকা, ওয়া আসতাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিকা, ওয়া আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকাল ‘আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু, ওয়ালা- আক্বদিরু, ওয়া তা’অ্লামু ওয়ালা- আ'অ্লামু, ওয়া আনতা ‘আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা, ইন কুনতা তা’অ্লামু আন্না হা-যাল আমরা (উদ্দিষ্ট বিষয়ের নাম বলবে) খাইরুল লী ফী দীনী ওয়ামা'আ-শী ওয়া আ-ক্বিবাতি আমরী ফাক্বদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ। (আল্লা-হুম্মা), ওয়া ইন কুনতা তা'অ্লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুন লী ফী দীনী ওয়ামা'আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী ফাস্বরিফহূ ‘আন্নী, ওয়াস্বরিফনী ‘আনহু ওয়াক্বদুর লিয়াল খাইরা হাইছু কা-না, ছুম্মা আরদ্বিনী বিহ
হে আল্লাহ্, আমি আপনার নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করি আপনার জ্ঞান থেকে, আমি আপনার নিকট শক্তি প্রার্থনা করি আপনার ক্ষমতা থেকে এবং আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি আপনার মহান অনুগ্রহ। কারণ আপনি ক্ষমতাবান আর আমি অক্ষম, আপনি জানেন আর আমি জানি না, আর আপনি সকল গাইবের মহাজ্ঞানী। হে আল্লাহ্, যদি আপনি জানেন যে, এ কাজটি (নির্দিষ্ট বিষয়টির উল্লেখ বা স্মরণ করবে) কল্যাণকর আমার জন্য, আমার ধর্ম, আমার পার্থিব জীবন এবং আমার ভবিষ্যৎ পরিণতিতে, তবে নির্ধারণ করুন একে আমার জন্য, সহজ করুন একে আমার জন্য এবং বরকত প্রদান করুন এতে আমার জন্য। হে আল্লাহ্, আর আপনি যদি জানেন যে, এ কর্মটি অকল্যাণকর আমার জন্য, আমার ধর্ম, জাগতিক জীবন ও আমার ভবিষ্যৎ পরিণতিতে তবে সরিয়ে নিন একে আমার নিকট থেকে, সরিয়ে নিন আমাকে এর নিকট থেকে, নির্ধারণ করুন আমার জন্য কল্যাণকে যেখানেই তা থাকুক এবং সম্ভষ্ট করে দিন আমাকে তার মধ্যে।
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে সকল বিষয়ে ইস্তিখারা করতে শিক্ষা দিতেন, যেমন গুরুত্বের সাথে তিনি আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন: যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজের ব্যাপারে মনের মধ্যে চিন্তা করবে তখন (সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে) নফল দু রাকআত সালাত আদায় করবে অতঃপর উপরের দোয়াটি বলবে।
এ সম্পর্কিত আরও দোয়া পড়ুনঃ
বিতরের কুনুতের দোয়া #১
বিতরের কুনুতের দোয়া #২
বিতরের কুনুতের দোয়া #৩
তাওবা'র সালাত
তাহাজ্জুদ সালাতের পূর্বে তেলাওয়াত ও তাসবীহ
বিতরের সালাতের পরের যিক্র #১
তাহাজ্জুদ সালাত শুরুর দোয়া #২
তাহাজ্জুদ সালাত শুরুর দোয়া #১
বিতরের সালাতের পরের যিক্র #৩
তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য ঘুম থেকে উঠে পড়ার দোয়া
বিতরের সালাতের পরের যিক্র #২
ঘুম ভাঙার পরে সলাত শুরুর আগের যিকর