পরিচ্ছেদ: যেসকল রক্বিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন

১৩৫

অনেক জাদুকর মানুষকে মিথ্যা ধারণা দেন, যেমন: রোগীকে কুরআন নির্দেশিত পন্থায় চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করা হয়। তাদের এ চুরি ও প্রতারণাকে আড়াল করার জন্য তারা শ্রবণযোগ্য স্বরে কুরআনের কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত করেন অথবা কোথাও আয়াত লিখে দেখান। আমি এরকম একটি আশ্চর্যজনক লেখা পড়েছি, জাদুকরদের সর্দার এটা লিখেছিল। তার নাম আবুল ফাত্তাহ আল তুখি। তার লেখা তাসখীরুল শায়তান ফি উইসাল আশিকান (ভালোবাসা তৈরিতে শয়তানের ব্যবহার) নামক একটি বইয়ের সূচনায় তিনি বলেন:“তিনি আশা করেন আল্লাহ তাকে সফলতা ও সমৃদ্ধি দান করবেন-আল তুখি আল ফালকি আবুল ফাত্তাহ বিন আল সাইয়িদ মুহাম্মাদ আবদু (আল্লাহ তাকে ও তার কাছে যারা আসেন তাদের সবাইকে ক্ষমা করুন) বলেন: এটি খুবই মুল্যবান একটি বই, আমি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী জেনারেশনের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে বইটি রচনা করেছি এবং আমি এর নামকরণ করেছি তাসখীরু শায়তান ফি উইসাল আশিকান (ভালোবাসা তৈরিতে শয়তানের ব্যবহার)”আল্লাহর কাছে সফলতা ও সমৃদ্ধির জন্য এ খারেজি বা বিপথগামী সাহায্য প্রার্থনা করার পর তিনি মানুষকে শাইখানোর চেষ্টা করেন যে, কুমারী নারীর হৃদয়ে ভালোবাসা তৈরির জন্য অভিশপ্ত শয়তান ইবলিসের কাছে কিভাবে সাহায্য চাইতে হয়, কিভাবে আল্লাহর বাণীর প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যায়, এমনকি তার এ কুফরি ও বিপথগামীতা এতটা মাত্রায় পৌছেছে যে, তিনি মানুষকে শাইখাচ্ছেন যৌন মিলনকালে যৌনাঙ্গে কিভাবে কুরআনের আয়াত লিখতে হয়। (নাউযুবিল্লাহ) [ড. ইবরাহিম কামাল আযাম, আল সিহর ওয়াস সাহারা থেকে উদ্ধৃত]আল্লাহ তা'আলা অবশ্য এ সংক্রান্ত সত্য প্রকাশ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন:وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْঅর্থঃ ফেরেশতাদ্বয় কাকেও (তা) শিখাতো না যে পর্যন্ত না বলত, আমরা পরীক্ষাস্বরূপ, কাজেই তুমি কুফরী কর না। (আল বাকারা ২:১০২)

সেটিংস

বর্তমান ভাষা