পরিচ্ছেদ: ভারতীয় কস্টাস (সুগন্ধীযুক্ত বৃক্ষ) বৃক্ষের তৈরি নাকের ড্রপ
১৪৫
ভূমিকাধূর্ত জ্বিনকে বিরক্ত করার জন্য ভারতীয় কস্টাসের তৈরি বিশেষ নাকের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগী এ ড্রপ এমনভাবে গ্রহণ করবে, যাতে এটা সরাসরি মস্তিস্কে চলে যায়, যেখানে জ্বিন অবস্থান করে। আর এভাবে ড্রপ গ্রহণ করার ফলে জ্বিন এতটাই বিরক্ত হবে যে, এ বিরক্তি আর সহ্য করতে না পেরে দ্রুত পালাবার পথ খুঁজবে। অথবা জ্বিন রক্বির সঙ্গে কথা বলবে এবং দ্রুত চলে যাওয়ার ও আর কখনো ফিরে না আসার প্রতিজ্ঞা করবে। ভারতীয় এ কস্টাস বা কস্তুরির কথা। হাদীসেও উল্লেখ রয়েছে, যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (রহঃ) তার সহীহ গ্রন্থে।উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, “তোমরা এ ভারতীয় বৃক্ষটি ব্যবহার করবে, কারণ এর মধ্যে রয়েছে সাতটি রোগের নিরাময়। এটি নাকের ড্রপের আকারে গ্রহণ করা যেতে পারে, এটি গলায় অথবা মুখের ভিতরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। [ফাতহুল বারী, কিতাবুত তিব্ব]আত্-তিরমিযী ইবনে আব্বাস থেকে একটি মারফু হাদীস বর্ণনা করেছেন, “মেডিকেল চিকিৎসার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ওষুধ হলো নাকের ড্রপ।ইমাম বুখারী তার সহীহ কিতাবে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন এ নামে: “ভারতীয় কস্টাসের তৈরি নাকের ড্রপ ব্যবহার সম্পর্কিত অধ্যায়।আবূ বকর আল আরাবী (রহ) বলেন, কস্টাস দু’ ধরনের। ভারতীয় কস্টাস (কালো) ও সামুদ্রিক কস্টাস (সাদা) ভারতীয় প্রজাতি তীব্র ঝাঁঝালো, আর এটাই আমাদের আলোচ্য বিষয়, কারণ এটি এমন এক প্রজাতির উদ্ভিদ যা জ্বিনকে প্রচণ্ডভাবে বিরক্ত করতে সক্ষম। আল হাফিজ বিন হাজার (রহঃ) “এ গাছে সাতটি রোগের নিরাময় রয়েছে এ বাক্যটির উপর মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন: হাদীসে সাতটি রোগের মধ্যে দুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, হয়ত আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সাতটির কথাই বর্ণনা করেছেন, কিন্তু বর্ণনাকারী একে সংক্ষিপ্ত করেছেন, অথবা আল্লাহর রাসূল (ﷺ) দুটির কথাই বলেছেন, কারণ ওই সময়ে দুটিই জানা ছিল। চিকিৎসকরা কস্টাসের সাতটিরও বেশি ব্যবহারের কথা বলেছেন, আর তাফসীরবিদগণ বলেন, সাতটি জানা গেছে ওহীর মাধ্যমে আর বাকিগুলো জানা গেছে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে।ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন, এ সাতটি রোগ দ্বারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কস্টাসের বিভিন্ন প্রয়োগকে নির্দেশ করা যেতে পারে, কারণ এটিকে মলম, পানীয়, সেক দেয়া, ধূপ, নাকের ড্রপ অথবা লুদুদ (মুখের এক কোণ দিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা) হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।মলম দ্বারা সাধারণত ক্রিম ও তেলের মিশ্রণে তৈরি পেস্ট জাতীয় ওষুধকে বোঝানো হয়, যা শরীরে প্রয়োগ করা হয়। আর কস্টাসের তৈরি পানীয় হল, কস্টাস চূর্ণ করে পাউডার বানিয়ে মধু বা পানি অথবা অন্য কোনো পদার্থ দিয়ে মিশ্রিত করা হয়। সেক দেয়ার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। নাকের ড্রপের ক্ষেত্রে, কস্টাসের গুড়া জলপাইয়ের তেল দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, অতঃপর এ মিশ্রণ থেকে নাকের মধ্যে ফোটা ফেলা হয়। মালিশের লোশনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। আর ধুপের বিষয়টি তো স্পষ্ট।উপরোক্ত প্রতিটি ব্যবহার বিভিন্ন রোগের নিরাময়ের জন্য বেশ উপকারী। আর এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, কারণ আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সংক্ষেপে কথা বলতেন।
ভারতীয় কস্টাসের তৈরি নাকের ড্রপ প্রয়োগ পদ্ধতিভারতীয় কস্টাসের একটি উকিয়াকে প্রথমে গুড়া করে পাউডারে পরিণত করতে হবে। ফাতহুল বারীতে ইবনে হাজার (রহ) উল্লেখ করেছেন, কিভাবে কস্টাস ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেন, প্রথমে রোগীকে পিঠ নিচের দিকে দিয়ে চিৎ করে শােয়াতে হবে। কাঁধের নিচে কিছু একটা দিয়ে তার দেহের উপরের অংশকে একটু উচু করতে হবে। এতে তার মাথা পিছনের দিকে ঝুঁকে থাকবে। এবার কস্টাস মিশ্রিত জলপাইয়ের তেল। তার নাক দিয়ে ফোটায় ফোটায় ঢালতে হবে, এ তেল যেন তার মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে। এর ফলে রোগীর হাঁচি তৈরি হবে এবং যে কোনো ধরনের অসুস্থতা এর মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। [ফাতহুল বারি, কিতাবুল তিব্ব]সাধারণত এ উপায়ে জ্বিন বিতাড়িত হতে পারে, কিন্তু জ্বিন যদি বের হয়ে আসে এবং অন্য কোনো কারণে ফিরে যায়, যেমন জ্বিন যদি ওই রোগীর দেহে বাধ্য হয়ে প্রবেশ করে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে ওই রোগী নিম্নোক্ত সূরাগুলো টেপে রেকর্ড করবেন এবং এগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকবেন।সূরা আল ফাতিহা, বাকারা, আল ইমরান, আত্-তাওবাহ, ইয়াসিন, আস্-সাফ্, আদ-দুখান, কাফ, আর-রাহমান, আল-মুলক্, আল-জ্বিন, আল-কাফিরুন, আল ইখলাস, আল ফালাক ও আন-নাস।
ভারতীয় কস্টাসের তৈরি নাকের ড্রপ প্রয়োগ পদ্ধতিভারতীয় কস্টাসের একটি উকিয়াকে প্রথমে গুড়া করে পাউডারে পরিণত করতে হবে। ফাতহুল বারীতে ইবনে হাজার (রহ) উল্লেখ করেছেন, কিভাবে কস্টাস ব্যবহার করতে হয়। তিনি বলেন, প্রথমে রোগীকে পিঠ নিচের দিকে দিয়ে চিৎ করে শােয়াতে হবে। কাঁধের নিচে কিছু একটা দিয়ে তার দেহের উপরের অংশকে একটু উচু করতে হবে। এতে তার মাথা পিছনের দিকে ঝুঁকে থাকবে। এবার কস্টাস মিশ্রিত জলপাইয়ের তেল। তার নাক দিয়ে ফোটায় ফোটায় ঢালতে হবে, এ তেল যেন তার মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে। এর ফলে রোগীর হাঁচি তৈরি হবে এবং যে কোনো ধরনের অসুস্থতা এর মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। [ফাতহুল বারি, কিতাবুল তিব্ব]সাধারণত এ উপায়ে জ্বিন বিতাড়িত হতে পারে, কিন্তু জ্বিন যদি বের হয়ে আসে এবং অন্য কোনো কারণে ফিরে যায়, যেমন জ্বিন যদি ওই রোগীর দেহে বাধ্য হয়ে প্রবেশ করে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে ওই রোগী নিম্নোক্ত সূরাগুলো টেপে রেকর্ড করবেন এবং এগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকবেন।সূরা আল ফাতিহা, বাকারা, আল ইমরান, আত্-তাওবাহ, ইয়াসিন, আস্-সাফ্, আদ-দুখান, কাফ, আর-রাহমান, আল-মুলক্, আল-জ্বিন, আল-কাফিরুন, আল ইখলাস, আল ফালাক ও আন-নাস।