পরিচ্ছেদ: মধু
১৩৭
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ ﴿٦٩﴾অর্থঃ “তার (মৌমাছির) পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় বের হয়, যাতে মানুষের জন্যে রয়েছে শিফা।” (সূরা নাহল: ৬৯)রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিমাসে তিনদিন সকালে মধু চেটে খাবে, সে কোন বড় রকমের ব্যাধি-কষ্টে পতিত হবে না।” কুরআনে হাকীমে মহান আল্লাহ বলেছেন, (فِيْهِ شِفَاءٌ لِّلنَّاسِ) অর্থাৎ, উহাতে (মধুতে) মানুষের নিমিত্তে রােগমুক্তি বিদ্যমান আছে। সত্যিই মধু একটা মূল্যবান ও বহু দোষনাশক ভেষজ - এতে কোন সন্দেহ নেই। সিফুরুস সাআদাহ' লেখক লিখেছেন, “নবী করীম (ﷺ) প্রত্যহ একটি পিয়ালাতে পানি মিশিয়ে মধু পান করতেন।” মধু বিশেষজ্ঞগণ বলেন যে, মধু পানিতে মিশ্রিত করে পান করা স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এত ফলপ্রসূ যে, তা একমাত্র মধু সম্পর্কে পারদর্শী ব্যক্তিগণই জানেন।ভেষজ বিজ্ঞানীগণ এ কথা অকপটে স্বীকার করেছেন যে, মধু একটা বহুবিধ মঙ্গলদায়ক সম্পদ। বিশ্বখ্যাত হেকীম 'জালীনুস’-এর মন্তব্য, 'ঠান্ডাজনিত ব্যাধিতে মধুর তুল্য ঔষধ নেই।'ইউনানী ডাক্তারগণ লিখেছেন, সকাল বেলায় খালি পেটে পরিমাণ মত মধু পান করা বা চেটে খাওয়া খুবই উপকারী। এতে কফ নির্গত হয়। পেটের বদ্ধ ময়লা বা দূষিত বস্তুগুলি দূরীভূত হয়ে যায় এবং পাকস্থলীর যথাযথ ক্রিয়া ঠিক রেখে অগ্নিবৃদ্ধি করে। এ ছাড়া পেটের জমা বায়ু নির্গত করতেও সাহায্য করে। মেয়েদের মাসিক স্রাব, বুকের দুধ এবং প্রস্রাবধারা প্রবাহিত রাখতেও এর কাজ যথেষ্ট। এমনকি মূত্রপাথুরি ও পিত্তপাথুরিগুলিকে গলিয়ে বের করে দেয়। (মহেরে হক মুখ খণ্ড ৪২পৃঃ)