পরিচ্ছেদ: ভূুমিকা

০৮

রক্বির রোগীর জন্য রুকইয়াহ তেলাওয়াত করবেন। এক্ষেত্রে যে জ্বিনের ক্ষতির কারণে রোগের সৃষ্টি হয়েছে সেই জ্বিনের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে রক্বির আল্লাহভীতি (তাকওয়া) ও আল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রধান ভূমিকা পালন করে। ইবনে মুফলিহ আল হাম্বলি (রহ) তার মাসাইবুল ইনসান মিন মাকাইদুস শায়তান গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মানুষের মতো শয়তানেরও সিজার (seizure) (অস্বাভাবিক হৃদকম্পন, দেহে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি) হয়, যখন সে ঈমানি চেতনায় পরিপূর্ণ কোনো মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি আসে। তিনি আরো বলেন:যে হৃদয় ঈমানি চেতনায় পরিপূর্ণ, তা সবসময় আলোকিত থাকে, এতে উত্তাপ আছে, যখনই কোনো শয়তানি প্ররোচনা (ওয়াসওয়াসা) এ হৃদয়ের কাছাকাছি আসে তখন এটি ছাইয়ে রূপান্তরিত হয়। বর্ণিত আছে, যখন কোনো মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর স্মরণ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন। যদি কোনো শয়তান বা মন্দ জ্বিন এর কাছে আসে, তাহলে ওই শয়তানেরও মানুষের মতো সিজার (শরীরে প্রচণ্ড ঝাকুনি) হয়। ওই মুহর্তে সব শয়তান ওই শয়তানকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং বলতে থাকে, “তার কী হয়েছে?” তখন বলা হয়, মানুষ তাকে পরাভূত করেছে।” [ইবনে তাইমিয়াহ, মাজমু আল ফাতওয়া, ১৯/৪১]এখানে উল্লেখ্য যে, জ্বিনের ক্ষতির ক্ষেত্রে তেলাওয়াতকারীর ঈমানী শক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। অস্ত্রের মালিকের হাতেই অস্ত্র ভালো কাজ করে।রোগীর জন্য কুরআনের যেসব আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে: রুকইয়াহ তেলাওয়াত করার পর নিম্নোক্ত ফলাফল আসতে পারে:১. রোগী একটি ঝাঁকুনি (সিজার) অনুভব করবে এবং জ্বিন কথা বলতে শুরু করবে।২. রোগী কোনো সিজার অনুভব করবে না, তবে অন্য কিছু লক্ষণ প্রকাশিত হবে যা দ্বারা বোঝা যাবে, এ সমস্যা জ্বিনের কারণেই হয়েছে।৩. আর সমস্যা যদি হয় স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বা মনোবৈজ্ঞানিক, তাহলে কিছুই ঘটবে না।

সেটিংস

বর্তমান ভাষা