পরিচ্ছেদ: বদনজর সম্পর্কিত দোয়া সমূহ

৫৫৩. বদনজর ও রোগব্যাধি থেকে হিফাযতের দোয়া

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ

اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ

আ‘উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বা-নিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিল লা-ম্মাহ

অনুবাদ

আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এ বাক্যগুলো দ্বারা হাসান (রাঃ) ও হুসাইন (রাঃ)-কে হেফাজত করাতেন। তিনি বলতেন, ইবরাহীম (আঃ) এ বাক্যদ্বারা তার দু সন্তান ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-কে হেফাজত করাতেন। সকল মুমিন পিতা ও মাতার উচিত সকাল ও সন্ধ্যায় এ বাক্যগুলো পাঠ করে সন্তানদের ফুঁক দেওয়া ও দোয়া করা। এছাড়া প্রত্যেকে নিজের হিফাযতের জন্য সকাল সন্ধ্যায় দোয়াটি পাঠ করবেন।

রেফারেন্সবুখারীঃ ৩৩৭১

৫৫৪. বদনজর থেকে হিফাযত

সূরা ফালাক

بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿١﴾ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿٢﴾ وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ﴿٣﴾ وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ﴿٤﴾ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। (২) মিন শাররি মা- খালাক্ব। (৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বাব। (৪) ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। (৫) ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা- হাসাদ

অনুবাদ

(১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, (৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (সূরা ফালাকঃ ১-৫)


সূরা নাস

بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿٢﴾ إِلَـٰهِ النَّاسِ ﴿٣﴾ مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿٤﴾ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿٥﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾

بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾ اِلٰهِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۬ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیْ یُوَسْوِسُ فِیْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ٪﴿۶﴾

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহি-ম। (১) ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। (২) মালিকিন্না-স, (৩) ইলা-হিন্না-স, (৪) মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, (৫) আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স

অনুবাদ

(১) বল, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, (২) মানুষের অধিপতি, (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে। (সূরা নাসঃ ১-৬)

রেফারেন্স[১] সূরা ফালাক: ১-৫ [২] সূরা নাসঃ ১-৬ [৩] সহীহ। ইবনে মাজাহঃ ৩৫১১

৫৫৫. অসুস্থতা ও বদনজরের মাসনূন দোয়া

بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ حَاسِدٍ، اَللَّهُ يَشْفِيكْ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيْكَ

بِسْمِ اللّٰهِ اَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُّؤْذِيْكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ اَوْ عَيْنٍ حَاسِدٍ، اَللّٰهُ يَشْفِيْكْ، بِسْمِ اللّٰهِ اَرْقِيْكَ

বিসমিল্লা-হি আর্‌ক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, মিন শার্‌রি কুল্লি নাফসিন আউ আ'ইনিন ‘হা-সিদিন, আল্লা-হু ইয়াশফীক, বিসমিল্লা-হি আর্‌ক্বীক

অনুবাদ

আল্লাহ্‌র নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি, সকল কিছু থেকে যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সকল প্রাণী ও হিংসুক চক্ষুর অনিষ্ট থেকে, আল্লাহ্‌ তোমাকে রোগমুক্ত করবেন, আল্লাহ্‌র নামে তোমাকে ঝাড়ফুক করছি।

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করেন (তখন তিনি জ্বরাক্রান্ত ছিলেন)। জিবরাঈল (আঃ) বলেন, মুহাম্মাদ, আপনি কি অসুস্থ? তিনি বলেন: হ্যাঁ। তখন তিনি উপরের কথাগুলো বলেন।

রেফারেন্সমুুসলিমঃ ২১৮৬

সেটিংস

বর্তমান ভাষা