পরিচ্ছেদ: জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে রেহাই
১৩. জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়া
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ الْجَنَّةَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার
হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে জান্নাত চাই; আর জাহান্নাম থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি সালাতে কী দোয়া করো?” লোকটি বলে, আমি তাশাহুদ পাঠ করে বলি-(উপরে উল্লেখিত দোয়া) আমি তো আর আপনার মতো সুন্দর করে দোয়া পড়তে পারি না, মুআযের মতোও না!" তখন নবী (ﷺ) বলেন, “আমাদের দোয়াও এর কাছাকাছি অর্থ বহন করে!”
১৪. দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও কল্যাণ চাওয়া
আব্বাস ইবনু আবদিল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন, ‘আমি বললাম, “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাকে এমন একটি জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আমি আল্লাহ্র কাছে চাইব।” নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্র কাছে কল্যাণ চান।” কিছুদিন পর আমি এসে বলি, “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাকে এমন একটি জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আমি আল্লাহ্র কাছে চাইব।” নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্র রাসূলের চাচা আব্বাস! আল্লাহ্র কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ চান।” [১] আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) মিম্বারের উপর (বসে) বলেন, “তোমরা আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা ও সুস্থতা চাও, কারণ ইয়াকীনের পর কোনও ব্যক্তিকে সুস্থতার চেয়ে উত্তম কিছু দেওয়া হয়নি।” [২]