পরিচ্ছেদ: সুন্নাহ থেকে
০২. আবু দাউদ : ৭৭৫
أَعُوْذُ بِاللَّهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِ
আ’উযু বিল্লাহিস সামি’ইল ‘আলিম মিনাশ শাইত্বনির রাজীম মিন হামঝিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি
আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে এবং তার প্রলোভন ও ফুঁ থেকে।
০৮. বুখারি : ৩৩৭১
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَّامَّةٍ
আউযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁয়া হা-ম্মাহ্, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্
আল্লাহর চূড়ান্ত বাক্যসমূহের আশ্রয় চাচ্ছি, প্রত্যেক শয়তান, ক্ষতিকারক প্রাণী ও কীটপতঙ্গ এবং প্রত্যেক হিংসুটে চোখ থেকে (তোমাদের নিরাপদ রাখুন)!
১৪. মুসলিম : ২৭০৮
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ كُلِّهِنَّ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি কুল্লি-হিন্না মিন শাররি মা খালাক্ব।
আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।
২০. আবূ দাউদ : ৫০৮৮
৩ বার বলবে,
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম
আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।”
২৬. মুসলিম : ২১৮৬
بِسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللّٰهُ يَشْفِيْكَ، بِاسْمِ اللّٰهِ أَرْقِيْكَ.
বিসমিল্লা-হি আর্ক্কীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, মিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ আইনিন ‘হা-সিদিন, আল্লা-হু ইয়াশফীক, বিসমিল্লা-হি আর্ক্কীক
আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুঁক করছি, সকল কিছু থেকে যা তোমাকে কষ্ট দেয়, সকল প্রাণী ও হিংসুক চক্ষুর অনিষ্ট থেকে, আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করবেন, আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ফুক করছি।
৩২. মুসলিম : ২২২
৩ বার বিসমিল্লাহ বলবে, তারপর নিচের দোয়াটি ৭ বার বলবে,
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
বিসমিল্লা-হ (৩ বার), আ’ঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা- আজিদু ওয়া উ’হা-যির
আল্লাহর নামে, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর ও তার ক্ষমতার, যা আমি অনুভব করছি এবং ভয় পাচ্ছি তা থেকে।
৩৮. তিরমিযী : ২০৮৩
৭ বার বলবে,
أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ
আসআলুল্লা-হাল ‘আযীম, রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, আঁই ইয়াশফিয়াক
আমি মহান আল্লাহ্র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।
৪৪. বুখারী : ৫৬৭৫
أَذْهِبِ الْبَأْسَ، رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا.
আযহিবিল বা'স, রাব্বা ন্নাস, ওয়াশফি আন্তাশ-শাফি, লা-শিফা-আ ইল্লা- শিফা-উকা। শিফা-আন লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা
হে মানুষের প্রতিপালক! তুমি রোগ দূর করে দাও এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই তো আরোগ্যদানকারী, তোমার আরোগ্য ভিন্ন আর কোন আরোগ্য নেই, এমন আরোগ্য দাও, যারপর কোন রোগ থাকে না।
৫০. মুসনাদ আহমদ : ৩/৪৪৭
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَيْهِ وَأَذْهِبْ عَنْهُ حَرَّ الْعَيْنِ وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا
আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলাইহি ওয়া আ’যহিব’ আনহু হাররিল ‘আইনি ওয়া বারদাহা ওয়া ওয়াসাবাহা
হে আল্লাহ! তাকে বারাকাহ দিন এবং তার থেকে বদনজর এর উত্তাপ থেকে মুক্তি দিন এবং তাকে শীতলতা প্রদান করুন এবং তা স্থায়ী করুন।
৫৫. তিরমিযি : ৩৫২১
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِن خَيْرِ مَا سَأَلَكَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ ﷺ، وَنَعُوذُ بِكَ مِن شَرِّ مَا اسْتَعَاذَ مِنْهُ نَبِيُّكَ مُحَمَّدٌ ﷺ، وَأَنْتَ الْمُسْتَعَانُ، وَعَلَيْكَ الْبَلَاغُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ.
আল্লাহুম্মা ইন্নাআ নাস-আলুকা মিন খাইরি মা সা-আলাকা মিনহু নবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া না'উযুবিকা মিন শাররী মাসতাআ’যা মিনহু নবিয়্যুকা মুহাম্মাদুন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া আন্তাল মুস্ত'আ’নু ওয়া আ’লাইকাল বালাগ, ওয়া লা হাওলা ওয়া লাক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ
হে আল্লাহ, আমাদের মঙ্গল দান করুন যেমন আপনার নবী মুহাম্মদ ﷺ আপনার কাছে চেয়েছিলেন, এবং আমরা আপনার কাছে মন্দ থেকে আশ্রয় চাই যেমন আপনার নবী মুহাম্মদ আপনার কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। আপনিই একমাত্র সত্ত্বা যার কাছে সাহায্য চাওয়া হয় এবং দুয়ার জবাব দেন। আল্লাহ ব্যতীত কোন (সৎ কাজ করার) সাহায্য বা (অসৎ কাজ থেকে বেঁচে থাকার) শক্তি নেই।
৬০. বুখারী : ৬৩৪৫
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম
আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান ও সহিষ্ণু। ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত আরশের রব্ব।
৬৫. আবু দাওউদ : ৩৮৯২
৩ বার বলবে,
رَبُّنَا اللَّهُ الَّذِي فِي السَّمَاءِ، تَقَدَّسَ اسْمُكَ أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحْمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، اِغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِينَ، أَنْزِلْ رَحْمَةً مِنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِنْ شِفَائِكَ عَلَى هَذَا الْوَجَعِ، فَيَبْرَأَ.
রাব্বুনাল্লাহুল্লাযি ফিস সামা-ই তাক্বাদ্দাসমুকা আমরুকা ফিস সামা-ই ওয়াল আরদ্বি কামা রহমাতুকা ফিস সামা-ই ফাজ’আল রহমাতাকা ফিল আরদ্বি ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাত্বায়ানা আনতা রাব্বুত ত্বয়্যিবিন, আনঝিল রাহমাতান মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফাইকা ‘আলা হাযাল ওয়াজা’ই ফাইয়াবরা
হে আমাদের পালনকর্তা, আল্লাহ, আপনি আসমানে আছেন; আপনার নাম পবিত্র। আপনার আদেশ আকাশে ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ রাজত্ব করে। যেমন আপনারর রহমত আসমানে রয়েছে, পৃথিবীতেঅ তেমনি আপনি রহমাত দিন। আমাদের পাপকে ক্ষমা করুন। আপনি উত্তম পালনকর্তা, আপনার দয়া ও শিফা এই রোগের নিরাময়ে নাযিল করুন।
৭০. বুখারী : ৩৩৭০
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ
হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত।