পরিচ্ছেদ: আল্লাহ্র নামের ওসীলার দোয়া সমূহ
৬৭৭. আল্লাহ্র নামের ওসীলার দোয়া
اَللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَبِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِي، وَنُوْرَ بَصَرِيْ (وَنُورَ صَدْرِي)، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ اَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، اَسْاَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهٖ نَفْسَكَ، اَوْ اَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، اَوْ عَلَّمْتَهٗ اَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، اَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهٖ فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، اَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ بَصَرِيْ (وَنُورَ صَدْرِيْ)، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আবদুকা, ওয়াবনু আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, না-সিয়াতি বিইয়াদিকা, মা-দিন ফিইয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিইয়্যা ‘ক্বাদা-উকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন হুআ লাকা, সাম্মাইতা বিহী নাফসাকা, আউ আনঝালতাহু ফী কিতা-বিকা, আউ ‘আল্লামতাহু আহাদান মিন খালক্বিকা, আউ ইসতাঅ্-ছারতা বিহী ফী ‘ইলমিল ‘গাইবি ‘ইনদাকা আন তাজ‘আলাল ক্বুরআ-না রাবী‘আ ক্বলবী, ওয়া নূরা বাসারী [অন্যান্য বর্ণনায়: নূরা বাসারীর পরিবর্তে: নূরা সাদ্রী], ওয়া জালা-আ 'হুঝনী, ওয়া যাহা-বা হাম্মী
হে আল্লাহ্, আমি আপনার বান্দা, আপনার (একজন) বান্দার পুত্র, (একজন) বান্দীর পুত্র। আমার কপাল আপনার হাতে। আমার বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্ত কার্যকর। আমার বিষয়ে আপনার বিধান ন্যায়ানুগ। আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি আপনার সকল নাম ধরে বা নামের ওসীলা দিয়ে, যে নামে আপনি নিজেকে ভূষিত করেছেন, অথবা যে নাম আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন, অথবা যে নাম আপনি আপনার কোনো সৃষ্টিকে শিখিয়েছেন, অথবা যে নাম আপনি গাইবী জ্ঞানে আপনার একান্ত নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন (সকল নামের ওসীলায় আমি আপনার কাছে চাচ্ছি যে,) আপনি কুরআন কারীমকে আমার অন্তরের বসন্ত, চোখের আলো (অন্যান্য বর্ণনায় হৃদয়ের আলো), বেদনার অপসারণ ও দুশ্চিন্তার অপসারণ বানিয়ে দিন। [১]
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: “যে কোনো ব্যক্তি যদি কখনো দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠাগ্রস্ত অবস্থায় বা দুঃখ বেদনার মধ্যে নিপতিত হয়ে উপরের বাক্যগুলি বলে দোয়া করে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ্ তার দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করবেন এবং তার বেদনাকে আনন্দে রূপান্তরিত করবেনই।” উপস্থিত সাহাবীগণ বলেন: তাহলে আমাদের উচিত এ বাক্যগুলো শিক্ষা করা। তিনি বললেন: “হাঁ, অবশ্যই, যে এগুলো শুনবে তার উচিত এগুলো শিক্ষা করা।” [২] বি. দ্র. মহিলারা এ দোয়া পাঠ করলে দোয়ার শুরুতে বলবেন: “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আমাতুকা, ওয়া বিনতু আবদিকা ওয়া বিনতু আমাতিকা ...”, অর্থঃ ‘‘হে আল্লাহ্ আমি আপনার বান্দী, আপনার (একজন) বান্দার কন্যা, আপনার এক বান্দীর কন্যা....’’। বিশেষ করে আল্লাহ্র 'ইসমে আযম' বা শ্রেষ্ঠতম নাম ধরে দোয়া করতে হাদীসে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্র ইসমে আযম'-এর ওসীলায় আল্লাহ্র নিকট দোয়া করলে আল্লাহ্ দোয়া কবুল করবেন।
৬৭৮. মহান আল্লাহ্র ইসমু আযম #১
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اَللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ اَلَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِاَنِّيْ اَشْهَدُ اَنَّكَ اَنْتَ اللّٰهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলূকা বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতাল আ‘হাদুস সামাদুল লাযী লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়াকুল লাহু কুফুআন আহাদ
হে আল্লাহ্, আমি আপনার নিকট এই বলে প্রার্থনা করছি যে, আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি, আপনিই আল্লাহ্, আপনি ছাড়া কোনো প্রকৃত মাবুদ নেই। আপনিই একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি জন্মদান করেননি ও জন্মগ্রহণ করেননি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
বুরাইদাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দেখেন যে, এক ব্যক্তি সালাতরত অবস্থায় দোয়ায় উপরের কথাগুলো বলছে। তখন তিনি বলেন: “যার হাতে আমার জীবন তার শপথ, নিশ্চয় এ ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে তাঁর ইসমু আ'যম ধরে প্রার্থনা করেছে, যে নাম ধরে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম ধরে চাইলে তিনি প্রদান করেন।”
৬৭৯. মহান আল্লাহ্র ইসমু আযম #২
اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ، إِنِّي أَسْأَلُكَ
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِاَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيْعُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِ كْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ
আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদা, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতাল মান্না-নু, বাদী'উস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ইয়া- যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম, ইয়া- ‘হাইউ ইয়া- ক্বাইউম ইন্নি আস আলুক
হে আল্লাহ্ নিশ্চয় আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি (এই বলে) যে, সকল প্রশংসা আপনার, আপনি ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, হে মহাদাতা, হে আসমানসমূহ ও পৃথিবীর উদ্ভাবক, হে মহত্ত্ব ও সম্মানের মালিক, হে চিরঞ্জীব, আমি আপনার কাছে চাইছি।
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম, অর্থাৎ তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল, যখন সে রুকূ-সিজদা এবং তাশাহুদ পড়ে দোয়া করতে আরম্ভ করল তখন সে তাঁর দোয়ায় বললঃ (উপরে দোয়াটি উল্লেখিত হয়েছে)। তখন নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি জান সে কিসের দ্বারা দোয়া করল? তাঁরা বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! সে আল্লাহ্র ঐ ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে যা দ্বারা দোয়া করা হলে তিনি তা কবুল করেন, আর যা দ্বারা কোন কিছু চাওয়া হলে তা তিনি দান করেন।