পরিচ্ছেদ: ঋণমুক্তির দোয়া সমূহ

৪১২. ঋণমুক্তির দোয়া #১

اَللَّهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

আল্লা-হুম্মাকফিনী বি'হালা-লিকা ‘আন 'হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌, আপনি আপনার হালাল প্রদান করে আমাকে হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার দয়া ও বরকত প্রদান করুন আমাকে। আপনি ছাড়া অন্য সকলের অনুগ্রহ থেকে বিমুক্ত করে দিন।

আলী (রাঃ)-এর কাছে এক ব্যক্তি ঋণমুক্তির জন্য সাহায্য চাইলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) আমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন, আমি তোমাকে তা শিখিয়ে দিচ্ছি। তোমার পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ্‌ তোমার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণমুক্ত করবেন। তুমি বলবে... (উপরের দোয়া)

রেফারেন্সহাসান। তিরমিজিঃ ৩৫৬৩

৪১৩. ঋণমুক্তির দোয়া #২

রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বেশি বেশি এ দোয়াটি বলতেন -

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল ‘হাঝানি ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা’ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌ আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা, মনোকষ্ট, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের প্রাধান্য বা প্রভাবের অধীনতা থেকে।

রেফারেন্সবুখারীঃ ২৮৯৩

৪১৪. ঋণমুক্তির দোয়া #৩

اَللَّهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَرَحِيْمَهُمَا تُعْطِيْهِمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِيْ رَحْمَةً تُغْنِيْنِيْ بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ

اَللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَرَحِيْمَهُمَا تُعْطِيْهِمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ اِرْحَمْنِيْ رَحْمَةً تُغْنِيْنِيْ بِهَا عَنْ رَّحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ

আল্লা-হুম্মা, মা-লিকাল মুলকি, তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানঝি’উল মুলকা মিম্মান তাশা-উ ওয়াতু’ইয্‌ঝু মান তাশা-উ ওয়া তুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইরু, ইন্নাকা ‘আলা- কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রাহমা-নুদ দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া রাহীমাহুমা-, তু’অ্‌তিহিমা- মান তাশা-উ ওয়া তামনা’উ মিনহুমা- মান তাশা-উর’হামনী রাহমাতান তুগনীনী বিহা- ‘আন রা’হ্‌মাতি মান্ সিওয়া-ক

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌, সকল রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান। পার্থিব জগৎ এবং পারলৌকি জাগতের মহাকরুণাময় ও অপার দয়াশীল। আপনি যাকে ইচ্ছা করুণা প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আপনি আমাকে এমন রহমত প্রদান করুন যা আমাকে আপনি ছাড়া অন্য কারো করুণা থেকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দেবে।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) মু'আয (রাঃ)-কে বলেন, যদি তুমি এ দোয়াটি বলে প্রার্থনা করো তাহলে তোমার পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ্‌ তা তোমার পক্ষ থেকে আদায় করে দেবেন।

রেফারেন্সহাসান। সহীহুত তারগীবঃ ১৮২১

সেটিংস

বর্তমান ভাষা