পরিচ্ছেদ: দুশ্চিন্তাগ্রস্তের জন্য পঠিতব্য দোয়া সমূহ
৪২০. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া #১
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، الْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، رَبُّ السَّمَاوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ، اَلْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ، رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ، رَبُّ السَّمَاوَاتِ، وَرَبُّ الْاَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদ্বি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম
আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি মহান, মহাধৈর্যশীল মহা বিচক্ষণ, আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি মহান আরশের প্রভু, আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিপদ বা কষ্টের সময় এ কথাগুলো বলতেন। [১] আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে কোনো কষ্ট বা বিপদে পড়লে উপরের এ দোয়া পড়তে শিখিয়েছেন। [২]
৪২১. দুশ্চিন্তা বা বিপদগন্তের দোয়া #২
اَللَّهُ اَللَّهُ رَبِّي لَا أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
اَللّٰهُ اَللّٰهُ رَبِّيْ لَا اُشْرِكُ بِهٖ شَيْئًا
আল্লা-হু, আল্লা-হু রাব্বী, লা- উশরিকু বিহী শাইআন
আল্লাহ্, আল্লাহ্ আমার রব, তার সাথে কাউকে শরীক করি না।
আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিবো না, যা তুমি বিপদের সময় পাঠ করবে? তা হচ্ছে: (উপরের দোয়াটি উল্লেখিত হয়েছে)
৪২২. দুশ্চিন্তা ও পেরেশানিতে পতিত ব্যক্তির দোয়া #১
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেন, “কোনও বান্দা যদি কোনও দুশ্চিন্তা বা পেরেশানির মুখোমুখি হয়ে বলে -
اَللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، وَابْنُ عَبْدِكَ، وَابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلَاءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ عَبْدُكَ، وَابْنُ عَبْدِكَ، وَابْنُ اَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، اَساَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهٖ نَفْسَكَ، اَوْ اَنْزَلْتَهٗ فِيْ كِتَابِكَ، اَوْ عَلَّمْتَهٗ اَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، اَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهٖ فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، اَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ صَدْرِيْ، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ওয়াবনু ‘আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা 'হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনঝালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল ক্বুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্রী, ওয়া জালা’আ 'হুঝনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী
হে আল্লাহ্! আমি তোমার দাস, তোমার এক দাসের ছেলে এবং তোমার এক দাসীর ছেলে; আমি পুরোপুরি তোমার নিয়ন্ত্রণে; তোমার সিদ্ধান্তই আমার উপর কার্যকর হয়; আমার ব্যাপারে তুমি যে সিদ্ধান্ত দাও, তা ন্যায়সংগত৷ তোমার প্রত্যেকটি নামের ওসীলা দিয়ে তোমার কাছে চাই, যে নামে তুমি নিজেকে নামকরণ করেছ, কিংবা যে নাম তুমি তোমার সৃষ্টির কাউকে শিখিয়েছ, অথবা যে নাম তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছ, অথবা তোমার অদৃশ্য-জ্ঞানে যে নাম তুমি নিজের জন্য গ্রহণ করেছ, তুমি কুরআনকে বানিয়ে দাও আমার অন্তরের বসন্তকাল এবং আমার বক্ষের আলো, আমার দুশ্চিন্তার নির্বাসন এবং আমার পেরেশানি-দূরকারী!
আল্লাহ্ অবশ্যই তার দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর করে তা আনন্দ দিয়ে বদলে দেবেন।” জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা কি তা শিখব না?' নবী (ﷺ) বলেন, “অবশ্যই! যে-ব্যক্তি এটি শুনে, তার উচিত তা মুখস্থ করা।”