পরিচ্ছেদ: ওযূ শেষে
১৭০. ওযূর পরের যিক্র #১
ওযূ করে এবং যথাযথভাবে তা সম্পন্ন করে বলতে হবে -
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ
আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মু‘হাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহু
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
উকবা ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যদি কেউ সুন্দরভাবে এবং পরিপূর্ণভাবে ওযূ করে এরপর উক্ত যিক্র পাঠ করে তাহলে জান্নাতের আটটি দরজাই তার জন্য খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা করবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
১৭১. ওযূর পরের যিক্র #২
اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
আল্লা-হুম্মাজ ‘আলনী মিনাত তাওয়্যা-বীনা ওয়াজ্ ‘আলনী মিনাল মুত্বাতাহ্ হিরীন
হে আল্লাহ্ আপনি আমাকে তাওবাকারীগণের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং যারা গুরুত্ব ও পূর্ণতা সহকারে পবিত্রতা অর্জন করেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
দোয়াটি পূর্ববর্তী জিকিরের পরে পড়ার কথা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যে এদোয়া দুটি পড়বে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে; যে-দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে।
১৭২. ওষুর পরের যিক্র #৩
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ، اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوْبُ اِلَيْكَ
সুব‘হা-নাকা আল্লা-হুম্মা, ওয়া বি‘হামদিকা, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আস্তাগ্বফিরুকা, ওয়া আতূবু ইলাইক
আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, হে আল্লাহ্, এবং আপনার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার কাছে তাওবা করছি।
আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, কেউ ওযূর পরে এ দোয়াটি বললে তা একটি পত্রে লিখে তা মোহরাঙ্কিত করে (আরশের নিচে) রাখা হবে। কিয়ামতের আগে সে মোহর ভাঙ্গা হবে না।